আমি পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি এখন। দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় বৃহস্পতিবার এসে এই কথা বলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মুকুল রায় বলেন, ‘আপনাদের মনে হচ্ছে কেন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে ঘুর ঘুর করতাম? আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর হল না।’ মুকুলবাবু এদিন বাংলার গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক দেন।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও কার্যত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই সভায় বক্তব্য রাখেন। কর্মীদের উৎসাহ দেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকেও একহাত নেন। মাঠে জনসভা করতে বাধা দেওয়ায় পুলিশকে তৃণমূল কংগ্রেসের দালাল বলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্য বিজেপির দখলে বাকি শুধু বাংলা আর ওড়িশা। চারিদিকে বিজেপি রাজ্য। সময় এসে গেছে দরজায় কড়া নাড়ছে। সময় কথা বলবে।’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ আসনের কথা বললেও খাতা খুলে বৈনি করতেই পারবে না। ২০২১ পর্যন্ত আর সরকার চালাতে পারবে না। ২০২০ তে তৃনমূল কংগ্রেস সরকার পড়ে যাবে।’
এদিন দুর্গাপুর আসার আগে আউশগ্রামে সোয়াই গ্রামে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতির হাত ধরে কুলটি থেকে ১৩১ জন ও দুর্গাপুর থেকে ৩৭ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন।