দুর্গাপুর শহর ঘেঁষা দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সরপি গ্রামের প্রাচীন রাম সায়েরের ‘ঝর্না’র জলে আজও ইসিএলের বাসিন্দাদের তৃষ্ণা মেটে। জেলার অন্যতম প্রাচীন গ্রাম হল দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইচ্ছাপুর পঞ্চায়েতের অধীন সরপি গ্রাম। কাঁকুড়ে লালমাটি ঘেরা প্রাচীন সায়ের রাম সায়েরের পাড়ে অল্প কিছুটা মাটি খুঁড়লেই মেলে বিশুদ্ধ পানীয় জল। ওই নির্দিষ্ট গভীরতায় সারা বছরই মেলে জলের প্রবাহ। এলাকার মানুষজন এই প্রবাহকে রামসায়েরের ঝর্নার জল বলে থাকেন।
গ্রামের মানুষের বিশ্বাস এই ‘ঝর্না ধারা’ ঈশ্বর প্রদত্ত। তাই সারা বছরই নির্দিষ্ট গভীরতায় মেলে জলের এই প্রবাহ। রাম সায়েরের এই প্রস্রবণের জল বিশুদ্ধ, খনিজ সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু এটি গ্রামের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিকভাবেও পরীক্ষিত বলে জানা গেছে। শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষায় সরপি, উখরা, লাউদোহা, চনচনি কোলিয়ারির গ্রামে নলকূপ বা কুয়ো থাকলেও এলাকার মানুষের তৃষ্ণা নিবারণে আজও অপরিহার্য এই রাম সায়েরের ‘ঝর্নার জল’। আশ পাশের এলাকার মানুষের কাছে রাম সায়েরের ওই জলের বিশেষ চাহিদা থাকায় স্থানীয় যুবকরা পাত্রে জল সংগ্রহ করে পাঁচ থেকে দশ টাকায় পানীয় জল সরবরাহ করে থাকে।
২০০৬ সালে সাংসদ কোটার টাকায় রাম সায়েরের ওই বিশেষ জল একটি ট্যাঙ্কে মজুত করে তা সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইচ্ছাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান উজ্জ্বল মন্ডল বলেন, রাম সায়েরের ঝর্নার জল বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত বিশুদ্ধ ও খনিজ সমৃদ্ধ। গ্রামে কুয়ো, নলকূপ থাকা সত্ত্বেও গ্রামের মানুষ বিশুদ্ধ ও খনিজ সমৃদ্ধ সুস্বাদু পানীয় জলের জন্য রাম সায়েরের ঝর্নার জলের উপরই নির্ভরশীল।
সরপি গ্রামের বাসিন্দা সরিতা বাউরি বলেন, বহু বছর ধরে আমরা রাম সায়েরের ঝর্নার জল পান করছি। রাম সায়েরের ঝর্নার জল স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু। এই জল খেলে আমাদের কোন রোগ জ্বালা হয়নি। পাশের গ্রামগুলিও এই ঝর্নার জলের উপর নির্ভরশীল।