কাঁকসার প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকা মায়া সিনহার (৭২) ইচ্ছা অনুযায়ী সামাজের কল‍্যাণে তাঁর মৃত্যুর পর দেহদান করা হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। মঙ্গলবার সকালে কাঁকসার মলানদিঘীর সনাকা হাসপাতালে মায়াদেবীর বার্ধক্যজনিত ব‍্যাধিতে মৃত্যু হয়। এরপরেই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার পরিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে মায়াদেবীর দেহ তুলে দিতে তৎপরতা শুরু করে দেন।

মায়াদেবী কাঁকসার হাটতলা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ২০০৬ সালে কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। কাঁকসার সিং পাড়ার বাসিন্দা। স্বামী বাসুদেব সিনহা এমএএমসি কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দুই ছেলে মানস ও মোহন সিনহা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অতি প্রিয় শিক্ষিকা মায়াদেবী নিজে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ গান সহ স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ করতে উৎসাহ দিতেন সংস্কৃতি মনস্ক মায়াদেবী।

অবসরের পরও মায়াদেবী স্কুলের ছেলে-মেয়েদের নিজের সন্তানের চোখে দেখতেন, তাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবারিত দ্বার ছিল তাঁর বাড়ি। জানা গেছে, মায়াদেবীর ইচ্ছাতেই পরিবারের সকলে দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন। তাই মায়াদেবীর মৃত্যুর পরই তাঁর নশ্বর দেহ সামাজিক কল‍্যাণে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পেরে গর্ব বোধ করছেন তাঁর স্বামী বাসুদেব সিনহা ও দুই পুত্র মানস ও মোহন সিনহা। একইভাবে কাঁকসা হাটতলা প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষিক-শিক্ষিকারাও মায়াদেবীকে নিয়ে গর্বের কথা জানান।



Like Us On Facebook