গরু চোরদের উদ্ধার করতে এসে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধে জনতার ইটবৃষ্টিতে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক, অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার সহ মোট ১০ জন আহত হল। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপ এ-জোনের হস্টেল অ্যাভিনিউর বস্তি এলাকায়। ওই এলাকার হিন্দি ভাষাভাষি কিছু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গরুর খাটাল চালান। ওই খাটালগুলি থেকে প্রায়ই গরু চুরির ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ জানিয়েও চুরির কিনারা হয়নি বলে খাটাল মালিকদের অভিযোগ।

রবিবার সকালেও পরপর দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এর পরে ফের একটি ‘এক্সসাইজ ডিউটি’ স্টিকার লাগানো গাড়ি করে একটি গরু চুরির সময় স্থানীয় মানুষ গাড়ির চালক সহ এক গরুচোরকে ধরে ফেলে গণধোলাই দেয়। জানা গেছে, গরু চোরের নাম শেখ আমিরুল, গাড়ির চালকের নাম আকাশ বাগদি দু’জনেরই বাড়ি পানাগড়ে। স্থানীয় মানুষজনের সামনে দু’জনই গরু চুরির কথা স্বীকার করে নেয়। খবর পেয়ে এ-জোন ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধনাথ অধিকারী সহ কয়েকজন পুলিশ গরু চোরদের নিজেদের হেফাজতে নিতে গেলে স্থানীয় মানুষ গরু চোরদের‌ পুলিশের হাতে দিতে অস্বীকার করে।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বারবার গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি, তাই পুলিশের হাতে গরু চোরদের তুলে না দিয়ে তাদের গণধোলাই দিয়ে গরু চোরেদের মাথাকে ধরা যাবে। স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের মধ্যে এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দড়ি টানাটানি চলে। এরপর জোর পূর্বক গরু চোরদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করলে পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি শুরু করে ক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি গৌতম তালুকদার সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

জানা গেছে, জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে স্টিল টাউনশিপ এ-জোন ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধনাথ অধিকারীর। ঘটনায় অন্যান্য পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ১০ জন আহত হন। একই সঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষও কমবেশি আহত হন। খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত পুলিশ গরু স্থানীয় ৫ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শেষমেশ গরু চোরদের পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।




Like Us On Facebook