করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৮ মে দুর্গাপুরের শ্যামপুরের ৫৫ বছরের এক ব্যাক্তি কাঁকসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্ত্তি হন। এর পর গত কাল হাসপাতাল থেকে রোগী মারা গেছে বলে জানানো হয় পরিবারকে। পাশাপাশি প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা বিলের কথা জানায় হাসপাতাল৷ এর পরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পরিবারের।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্ত্তির পর এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতালকে মেটানো হয়েছে। পারিবারিক সমস্যা থাকলেও সোনা, বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করেও টাকা মেটানো হয়েছে। এর পরে বাকি টাকা পরিবারের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয় বলে হাসপাতালকে জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। পরিবারের অভিযোগ, পুরো টাকা না মেটালে হাসপাতাল বডি ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপর পরিবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দারস্থ হয়। শেষমেষ দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শেখর কুমার চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পুরো বিষয়টির লিখিত অভিযোগ জানায় পরিবার। এর পরই মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে মৃতদেহ ছাড়া হয় বলে জানা গেছে।
দি নেশন হাসপাতালের ডিরেকটর সূর্য ব্যানার্জী হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ৩৩ দিন রোগী আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন, তাই তাঁর চিকিসায় এই খরচ হয়েছে। বিলে সমস্ত কিছু উল্লেখ আছে, যাচাই করে নিতে পারেন রোগীর পরিজনেরা।