দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শুধুমাত্র মঙ্গলবারেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২১ জন। তার মধ্যে কেবলমাত্র বর্ধমান পৌর এলাকাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ জন। বর্ধমান আদালতের বেশ কয়েকজন আইনজীবীও করোনা পজিটিভ বলে জানা গেছে। এনিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীরা সওয়ালে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। বুধবার থেকে আইনজীবীরা সওয়ালে অংশ নেবেন না। জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হবে না। বন্ধ থাকবে মামলার বিচারও। তবে, সিজেএম আদালতে পেশ হওয়া ধৃতদের জামিনের আবেদনের সওয়ালে অংশ নেবেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন আলোচনায় বসে। সেখানেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে সওয়ালে অংশ নেওয়া বিপজ্জনক হবে বলে মত প্রকাশ করেন আইনজীবীরা। দীর্ঘ আলোচনার পর ৩ মে পর্যন্ত সওয়ালে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বার অ্যাসোসিয়েশন। ৪ মে বেলা ১২টায় ফের বারের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে আলোচনায় করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, আইনজীবারা সওয়ালে অংশ না নিলেও আদালতের কর্মীদের হাজির থাকতে হবে। এনিয়ে কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়লেও আদালত চত্বর জীবাণুমুক্ত না করায় ক্ষুব্ধ আদালতের কর্মীরা। আদালতের এক কর্মী বলেন, হাইকোর্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আদালতের কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করার জন্য নিের্দশ দিয়েছে। কিন্তু, এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আদালত কর্তৃপক্ষ একেবারে উদাসীন। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে। কয়েকজন আইনজীবীর করোনা ধরা পড়েছে। আদালতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থেই সওয়ালে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা জজকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।