দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারগুলিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিল। রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে বলে জানা গেছে। বাজারে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সহযোগিতা করতে এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।
আনলক শুরু হতেই বাজার গুলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েকদিনের মধ্যেই বেনাচিতি বাজার এলাকায় পরপর কয়েকজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বেনাচিতি বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী, যিনি একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের মালিক তিনিও করোনায় আক্রান্ত হন।
জানা গেছে, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানের ২২ জন কর্মচারী সহ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ির সকলের সোয়াব টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ প্রশাসন থেকে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সেটি এবং পার্শ্ববর্তী দোকান সহ গোটা এলাকাটিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কবি দত্ত বলেন, ‘বাজার বন্ধ করে জনজীবন স্তব্ধ করে দিলেই যে করোনা ঠেকানো সম্ভব তা নয়। মানুষের মধ্যে যতদিন না সচেতনতা বাড়বে ততদিন কোন ভাবেই করোনা ঠেকানো যাবে না। খুব প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে মুখে মাস্ক পরার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজ করার অভ্যাস করতে হবে। তবেই করোনা ঠেকানো সম্ভব হবে। নচেৎ নয়।’ দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘এলাকাটিকে কনটেন্টমেন্ট জোন করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’