টিউশন পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার মহিন্দর গ্রামে। মৃত ছাত্রের নাম সায়ন ঘোষ (১৬)। জামালপুরের পর্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাড়ি জামালপুরের পারুল গ্রামে।
মৃত ছাত্রের বাবা বসন্ত ঘোষ জানিয়েছেন, অন্যান্যদিনের মতই বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি তাঁর একমাত্র ছেলে সায়নকে প্রাইভেট টিউশন পড়তে দিয়ে আসেন পাশের মহিন্দর গ্রামে তরুণ কোলের বাড়িতে। সেখানেই গৃহশিক্ষিকা পারমিতা সামুইয়ের কাছে ভূগোল পড়তে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী তরুণ কোলের বাড়িতে মোট চার পড়ুয়া ভূগোলের টিউশান পড়তো পারমিতা সামুইয়ের কাছে। তরুণ কোলের মেয়ে সহ দুই ছাত্রী ও দুই ছাত্র ছিল।
বসন্তবাবু জানিয়েছে্ন, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি সায়নকে দিয়ে চলে আসার কিছুক্ষণ পর ওই শিক্ষিকার ফোন থেকে তরুণ কোলে তাঁকে জানান, সায়ন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বসন্তবাবু জানিয়েছেন, এই খবর শুনে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে সায়ন। এরপরই তাকে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন সায়নকে।
এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত সায়ন ঘোষের বাবা বসন্ত ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তিনি বিকাল ৫টার সময় টিউশন পড়তে দিয়ে আসার আধঘণ্টা পরই তাঁকে ফোন করা হয়। তিনি জেনেছেন, জলের একটি বোতল নিয়ে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে খুনসুটি করার সময় সায়নের বুকে জলের বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। কিন্তু তিনি এই ঘটনা বিশ্বাস করেন না। জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগে বসন্তবাবু জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক, ওই শিক্ষিকা এবং অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা মিলিতভাবে তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। এব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে জামালপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।