কাঁকসার রাজকুসুম গ্রামে ঘন জঙ্গলের মধ্যে বনকালী পুজো অনুষ্ঠিত হল কালী পুজার পরের দিন। প্রাচীনকাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে এখানে। কাঁকসার গোপালপুরের ভট্টাচার্য্য পরিবার এবং রাজকুসুম গ্রামের রায় পরিবারের যৌথ পুজো এটি। রায় পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘প্রায় পাঁচশো বছর ধরে এখানে পুজোর অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। এক সময় এখানে বনকালী মায়ের পুজো দেওয়া হতো মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে। পরে এখান থেকেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় কাঁকসার গোপালপুরে ভট্টাচার্য্য পরিবারের মন্দিরে। যেটি বর্তমানে গোপালপুরের বড় কালী নামে পরিচিত।’
কালীপুজোর পরের দিন সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় বনকালী মায়ের পুজো দেখতে। পানাগড়, কাঁকসা সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার ভক্ত এখানে ভিড় জমান। স্থানীয়রা বলেন, ‘মা অত্যন্ত জাগ্রত। অনেকেই মায়ের কাছে নানান মানত করে থাকেন এবং মা ভক্তদের মনস্কামনা পূরণও করেন। সেই কারণে প্রতিবছর মায়ের পুজো উপলক্ষে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। প্রাচীন রীতি মেনেই এখানে মায়ের পুজোর পাশাপাশি আজও বলি প্রথা প্রচলিত আছে।’