সুব্রত মুখার্জীর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে এল বর্ধমানের মেমারি থানার মণ্ডলগ্রামে। সুব্রত মুখার্জীর মামারবাড়ির গ্রাম। তাঁর আদিবাড়ি নাদনঘাটের নওপাড়া হলেও সুব্রতবাবুর ছোটবেলার অধিকাংশটা কেটেছে তাঁর এই মামারবাড়িতেই দিদিমা অন্নপূর্ণা চ্যাটার্জীর ছত্রছায়ায়। শুক্রবার রাত্রে যখন সুব্রতবাবুর প্রয়াণের খবর ঘোষণা হল তখনই রীতিমত শোকের ছায়া নেমে এল এই মণ্ডলগ্রামে।

গত কয়েকদিন ধরেই সুব্রতবাবুর আরোগ্য কামনায় মণ্ডলগ্রামের জাগ্রতা দেবী মা রক্ষা কালীর কাছে গ্রামবাসীরা প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছিলেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মা রক্ষাকালীর কাছে তাঁর আরোগ্য কামনায় মানতও করেছিলেন অনেকে। কিন্তু শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েন মণ্ডলগ্রামের বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরই অন্তত একবার এই মণ্ডলগ্রামে আসতেন সুব্রতবাবু। খোদ সুব্রতবাবুই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় তাঁর কোনে রোগভোগ হলেই তাঁকে এই মা রক্ষাকালীর কাছে নিয়ে আসা হত। তিনি সুস্থ হয়ে যেতেন। শনিবার সুব্রতবাবুর আত্মীয় সুকুমার চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, তাঁরা অভিভাবকহীন হয়ে গেলেন। এই মণ্ডলগ্রামে পিএইচই-র মাধ্যমে পানীয় জল, রাস্তাঘাট সবই তিনি করে দিয়েছেন। আরও দুটি কাজ তাঁকে করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল মন্দিরের সংস্কার এবং মণ্ডলগ্রামে একটি হাসপাতাল। সুকুমারবাবু জানিয়েছেন, সুব্রত কথাও দিয়েছিল মন্দির সংস্কারটি তিনি করে দেবেন। কিন্তু তা আর হল না। অসমাপ্ত রয়ে গেল হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনাও। সুকুমারবাবু বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হতই সুব্রতর। শেষ কথা হয়েছিল লক্ষ্মীপুজোর দিন। তখনও ভাবতে পারিনি এভাবে চলে যাবে সুব্রত।’

Like Us On Facebook