দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে মিশন হাসপাতালের সামনে শুক্রবার সকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসেরই দুটি গোষ্ঠী এই ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ। হাসপাতালে আগত রোগী বা রোগীর আত্মীয়দের অসুবিধার কথা চিন্তা না করেই বোমাবাজিতে লিপ্ত হয় দুই গোষ্ঠী। উভয় পক্ষের ক্ষমতা প্রদর্শন দেখে হাসপাতালে আগত রোগী বা রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ছুটে আসে এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়। উভয় পক্ষের দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জি। উত্তমবাবু মিশন হাসপাতালে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজির কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘এই ঘটনায় যদি দলের লোকজন জড়িত থাকে সে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী নন। দল আমাকে তদন্ত করতে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’ উত্তমবাবু বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ যেন কড়া হাতে ব্যবস্থা নেয়।’

এদিকে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর অস্থায়ী কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট ও বোমাবাজির ঘটনায় মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা হাসপাতালের কোন যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন মিশন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ পার্থ পাল। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা একটি আউটসোর্সিং সংস্থার মাধ্যমে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই সেই সংস্থার কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল হলে তার কোন দায়িত্ব আমাদের নেই। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা হাসপাতালের নিজস্ব কোন কর্মী কোনভাবেই জড়িত নয়। হাসপাতালের ভিতরে কোন সমস্যা হয় নি। এই ঘটনায় হাসপাতালে পরিষেবার কোন ব্যাঘাত ঘটে নি বা কোনরূপ প্রভাব পড়েনি। আমাদের হাসপাতালের বাইরে কোথাও কিছু ঘটে থাকলে সেটা পুলিশ, প্রশাসনের দেখার বিষয়। আমাদের নয়।’



Like Us On Facebook