আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা সহ ৪ বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ধৃতদের নাম বাপন মালিক, মহাদেব সোরেন, সুকুমার রায় ও আশিস দাস। হুগলির ধনিয়াখালি থানার মাদপুরে সুকুমার রায়ের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি ধনিয়াখালি থানার দশঘড়ার বিভিন্ন এলাকায়। আশীষ দাস ধনিয়াখালির ২৯ নম্বর মণ্ডল সভাপতি। মহাদেব সোরেন দশঘড়া-২ মণ্ডলের সম্পাদক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে গাড়িতে করে ধৃতরা তারকেশ্বর–চুঁচুড়া রোডে জামালপুরের মহেশগড়িয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে দু’জন পালিয়ে যায়। বাকি ৪ জনকে ধরে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে একটি পাইপগান ও ৩টি গুলি এবং নাইলনের থলি থেকে ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে একটি তরোয়াল, একটি ধনুক ও কয়েকটি তিরও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাস্তায় ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তাঁরা জড়ো হয়েছিল। ধৃতদের বুধবার বর্ধমান আদালতে তুলে বাকিদের হদিশ পেতে এবং আরও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ ধৃতদের ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর তাঁদের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। এদিন এই ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি নেতা সন্দীপ মুখার্জী বলেন, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আশীষ দাস সহ তিনজন সদস্যকে পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের বি-টিম হয়ে কাজ করছে। অন্যদিকে, এদিন বর্ধমান আদালতে দাঁড়িয়ে আশীষ দাসের স্ত্রী জানিয়েছেন, আশীষবাবুকে দশঘড়ার তৃণমূল কংগ্রেস কিছুতেই সহ্য করতে পারছিল না। তাই তারা পরিকল্পনা করে মিথ্যা অভিযোগে আশীষবাবুকে ফাঁসিয়েছে।

Like Us On Facebook