শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক লড়াই জারি রেখে সগড়ভাঙার মাঠে পুলিশ বেরিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের এনে জনসভা করল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুরের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা মাঠ, মাঠের প্রবেশ পথ ও রাস্তা ঘিরে রাখে। বিজেপি কর্মীদের মাঠে প্রবেশ পথে ঢুকতে বাধা দেয়।গোটা মাঠ সিভিক পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখে। মাঠে বিজেপি কর্মীরা যাতে সভা করতে না পারে তার জন্য কড়া নজরদারি করা হয়। এদিকে বিজেপি কর্মীরাও মাঠে ঢুকে কিভাবে বিজেপি রাজ‍্য সভাপতির জনসভা সফল করবে সেই কৌশল চালাতে থাকে বিজেপি পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুইয়ের নেতৃত্বে কর্মীরা। টানটান উত্তেজনা চলে দুপুর ছাড়িয়ে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।

এদিকে সগড়ভাঙার পুরানো বিডিও অফিস সংলগ্ন মাঠে তখনও মঞ্চ তৈরি হয়নি। এমন সময় পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই একটি ট্রেলার নিয়ে আসেন সঙ্গে মঞ্চ সাজানোর সরঞ্জাম। ফ্লেক্স ফেস্টুন। অন‍্য একটি গাড়িতে সাউন্ড সিস্টেম। পুলিশ বাধা দেয় এই সব দেখে। তারমধ্যে হঠাৎ করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করেন সঙ্গে দলীয় কর্মীদের বিশাল মিছিল স্লোগান দিতে দিতে মুকুল রায়কে নিয়ে পুলিশ বেরিকেড ঠেলে সোজা মাঠে প্রবেশ করে যায় সেই‌ বিতর্কিত মাঠে। পিল পিল করে পিছনে পিছনে বাকি বিজেপি কর্মীরা মাঠে ঢুকে পড়ে মাঠ পাহারা দেওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারদের কার্যত তাড়া করে মাঠ থেকে বের করে দিয়ে মাঠ নিজেদের দখল নেয়। পরে পুলিশ মাঠ ছেড়ে চলে যায়। যদিও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এদিন। পরিস্থিতি শান্ত ও সংযত রেখেই পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা ডিউটির স্বার্থে নিজেদের নার্ভের লড়াই চালিয়ে গেছেন। পরে ট্রেলার মাঠে ঢুকে পড়লে সেই ট্রেলারে ফেস্টুন লাগিয়ে কার্পেট বিছিয়ে মঞ্চ বানিয়ে বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ, মুকুল রায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিজেপি কর্মীরা বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেন।




Like Us On Facebook