করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তৈরি হয়েছে বিশেষ আইসোলেশন বিভাগ। করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসার প্রস্ততির হালহকিকত জানতে ও চিকিৎসা সরঞ্জামের কোন প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা জানতে এবং করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়াতে রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গে এদিন মহকুমা হাসপাতালে যান দুর্গাপুর পুরসভার আর এক মেয়র পারিষদ ধর্মেন্দ্র যাদব সহ কয়েকজন কাউন্সিলর। বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এদিন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. দেবব্রত দাসের কাছে করোনা মোকাবিলায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রস্ততি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। কথা বলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের মনোবল বাড়াতে উৎসাহিত করেন এদিন।
বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালকে জরুরি পরিষেবা দেবার অনুরোধ করেছেন। তিনি নিজেও করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কলকাতা সহ জেলার প্রতিটি হাসপাতালের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। আমিও আমার বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।আজ রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার কথা জানালাম এবং আমি সব রকম সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি সেই বিষয়টিও হাসপাতালের সুপারকে বললাম।’ জানা গেছে এদিন বিধায়ক দুর্গাপুরে প্রান্তিকার বস্তি এলাকায় দুস্থ মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।’
লকডাউনের জেরে খাদ্যসামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করা নিয়ে শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে দুস্থ মানুষেরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বিশেষ করে যেসব বাড়ির ছেলেমেয়েরা বিদেশ বা ভিন রাজ্যে রয়েছেন তাঁদের বয়স্ক বাবা-মায়েরা বেশ সমস্যায় পড়েছেন। দুর্গাপুরের এইসব প্রবীণদের পাশে দাঁড়ালো দুর্গাপুরের বাম সংগঠনের কর্মীরা। বিশেষ ফোন নম্বর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রবীণদের চাল ডাল আলু পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে যদি ওষুধপত্র প্রয়োজন থাকে তাও দোকান থেকে নায্যমূল্যে এনে দিয়ে প্রবীণদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। জানা গেছে, বাম সংগঠনের মহিলা কর্মীরাও গৃহবন্দি দুস্থ মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মতো বাম সংগঠনের কর্মীরাও মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন এই লকডাউনের সময়ে।