মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি দেওয়াই সার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্বেও কার্ডে সমস্যা আছে এই কারণ দেখিয়ে রোগীর পরিবারের কাছে নগদ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। দুর্গাপুরের ঘটনা। কয়েকদিন আগে এক ব্যক্তির হৃদযন্ত্রের অপারেশন হয় দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বালুরঘাট থেকে আসা রোগীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও নগদ চার লাখ টাকা দিতে বলা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এই ঘটনায় শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্ত্বরে। সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়তেই যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে সংবাদ মাধ্যমের কাছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে দুর্গাপুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে দাদাকে ভর্তি করেছিলেন দেবী দাস। চলতি মাসের তিন তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে ফোনে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড আছে বলে কথা বলেই দুর্গাপুরের বেসরকারি এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় দেবী দাসের দাদা গৌতম দাসকে। গৌতমবাবুর সেই দিনই হার্টের অস্ত্রপ্রচার হয় হাসপাতালে। বর্তমানে রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

দেবী দাস বলেন, ‘দাদাকে ভর্তির সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়েই ভর্তি করা হয়েছিল। দাদার হার্টের অস্ত্রপচারের পর এখন সুস্থ আছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন বলছে দাদার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সমস্যা আছে। চিকিৎসায় হাসপাতালে বিল হয়েছে প্রায় চার লাখ টাকা। সেই টাকা নগদে দিতে বলছে। কিন্তু এত টাকা আমরা কোথা থেকে পাব?’ হাতে সাস্থ্য সাথীর কার্ড, আর সেই কার্ডে কিছু হবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই কথা বলে দেওয়ায় এখন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে আসা গৌতম দাসের পরিবার অথৈ জলে পড়েছে। কি করবেন আর কি করবেন না সেটাই এখন বুঝে উঠতে পারছেন না। দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ পাল অস্বস্তি এড়াতে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কার্ডে কোন টেকনিক্যাল ত্রুটি আছে। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

রোগীর বোন দেবী দাস
Like Us On Facebook