মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হওয়ায় বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গাপুরের বন্ধ মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন (এমএএমসি) কারখানা খোলার বিষয়ে কনসর্টিয়ামের বর্তমান অবস্থান কি তা জানতে চাইলেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা। বুধবার কনসর্টিয়ামকে চিঠি পাঠান মহকুমাশাসক। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরের বন্ধ এমএএমসি কারখানা খোলার বিষয়ে আগ্রহী হওয়ায় নবান্ন থেকে বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাছে এমএএমসি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ আসে। সেই নির্দেশ কার্য্যকর করলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক। যত শীঘ্র সম্ভব কনসর্টিয়ামকে বন্ধ এমএএমসি কারখানা খোলার বিষয়ে তাদের অবস্থান জানানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালে লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত এমএএমসি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালে কলকাতা হাইকোর্টের তত্বাবধানে এক নিলামে ১০০ কোটি টাকায় ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড(বিইএমএল), কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড(সিআইএল) ও দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন(ডিভিসি) এই তিন সংস্থা মিলিত ভাবে একটি কনসর্টিয়াম গঠন করে এমএএমসিকে হাতে নেয়। কনসর্টিয়ামের চুক্তি ছিল কারখানায় উৎপাদনের দায়িত্বে থাকবে বিইএমএল। উৎপাদিত খনি যন্ত্রাংশের ক্রেতা হবে সিআইএল। সিআইএল-এর উত্তোলিত কয়লা কিনবে ডিভিসি। কনসর্টিয়াম এমএএমসিকে হাতে নেওয়ার পর ৬ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্ত বন্ধ এমএএমসি যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে বন্ধ এমএএমসি কারখানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হওয়ায় জেলা প্রশাসনও এমএএমসি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করল। বর্ধমান ডট কম কে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা কনর্সটিয়ামকে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এমএএমসি নিয়ে কনসর্টিয়ামের বর্তমান অবস্থান জানতে বুধবার চিঠি দিয়েছি।’
Like Us On Facebook