পশুপাখিদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্গাপুর সোসাইটি ফর কেয়ারিং প’স অ্যান্ড ক্ল’স(Paws and Claws)-এর উদ্যোগে দুর্গাপুরে একটি পশু চিকিৎসালয় ‘আরণ্যক’ এর সূচনা হল। দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের স্বামী বিবেকানন্দ চৌমাথা রাস্তার পাশে এমএএমসির একটি পরিত্যক্ত আবাসনে এই পশু চিকিৎসালয়ের সূচনা করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির আবেদনে সাড়া দিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমএএমসির পরিত্যক্ত আবাসনটিকে অসুস্থ পশুপাখিদের চিকিৎসালয় করার জন্য বন্টন করেন বলে জানান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মূল কর্ত্রী কেয়া দুয়ারী দিন্দা।
কেয়া দুয়ারী শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, দুর্গাপুরে অসুস্থ পশুপাখিদের জন্য বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এই ধরণের চিকিৎসালয় প্রথম হল। দুর্গাপুর শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ পশুপাখিরা এবার সুচিকিৎসা পাবে এই হাসপাতাল থেকে। দুর্গাপুরের বহু পশুপাখি প্রেমী মানুষ, শহরের বেশ কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যাবসায়ী সবরকমভাবে সাহায্য করতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া সরকারি পশু চিকিৎসালয়ের অবসর প্রাপ্ত চিকিৎসকরাও এই হাসপাতালের পশুপাখিদের চিকিৎসা করবেন বলে জানা গেছে।ইতিমধ্যে এই হাসপাতালে দুটি সারমেয়র ক্যানসারের কেমো থেরাপিও চলছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে আরণ্যক পশু চিকিৎসালয়ের মূল উদ্যোক্তা কেয়া দুয়ারী বলেন, ‘এতদিন আমি এবং আমার সংগঠনের সমস্ত সদস্যরা দুর্গাপুর শহরের রাস্তার ধারে পড়ে থাকা সারমেয় সহ বিভিন্ন পশুপাখিদের খাওয়ানো ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতাম। অনেক প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা তাদের আন্তরিক ভাবে দেখভাল করতাম। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কোন পশু চিকিৎসালয় ছিল না। পশু পাখিদের কেয়ারিং সেন্টার ছিল না শহরে। এটাই বড় আক্ষেপ ছিল আমাদের। এবার আমরা আমাদের নিজস্ব আরণ্যক পশু চিকিৎসালয়ের মাধ্যমে দুর্গাপুর শহরের সমস্ত অসুস্থ পশুপাখিদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারব এই ভেবেই খুব ভালো লাগছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন প্রাথমিকভাবে পশুপাখিদের চিকিৎসা দেওয়ার এখানে ব্যবস্থা করেছি। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত কাজকর্ম একটু গুছিয়ে নিয়ে দুর্গাপুরের প্রথম বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পরিচালিত ‘আরণ্যক পশু চিকিৎসালয়’-এর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধন করব আমরা।