সোমবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হল। চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দামোদর ব্যারেজের উপর ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই চৌদ্দ দিন ব্যারেজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল আংশিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু কেবলমাত্র ১৪ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘন্টা ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৯৫২ সালে শুরু হয়েছিল ব্যারেজ নির্মাণের কাজ। ১৯৫৫ সালের ৯ আগষ্ট ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের হাত দিয়ে হয়েছিল গাড়ি চলাচল শুরু। তারপর থেকে হয়ে গেল ৬৬ বছর। প্রযুক্তিগত ভাবে ষাট বছর পর এই ধরণের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়া জরুরি। কিন্তু ষাট বছরের পর আরও ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। গত ২০১৭ সালে ব্যারেজের এক নম্বর লকগেট ভেঙে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। জল সংকটে পড়ছিল দুর্গাপুর শহর। গত বছর ডিসেম্বরে আবার একই ঘটনা। ৩১ নম্বর লকগেট বেঁকে গিয়ে বিপত্তি। ব্যারেজের জল খালি করে মেরামতি করা হয় লকগেট। সাতদিন জল সংকটে পড়েছিল দুর্গাপুর শহর সহ বাঁকুড়া জেলা।
দুর্গাপুর ব্যারেজের দৈর্ঘ্য ৬৯২.২ মিটার, প্রস্থ ৬.৭০ মিটার। এই ব্যারেজের নীচের সিমেন্টের ঢালাই অংশ পরীক্ষা করা হচ্ছে। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদিন বন্ধ থাকবে এই সেতু। দক্ষিণ ভারত থেকে বাঁকুড়া হয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা হয়ে বীরভূম হয়ে উত্তর বঙ্গের জেলাগুলোতে যাওয়ার এই রাস্তা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভবিষ্যতে যাতে আরও বড় ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে এই পরীক্ষা।