মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি, চেয়ারম্যান মৃগেন পাল, ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জী সহ সমস্ত কাউন্সিলর এবং মেয়র পারিষদদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নং বরো চেয়ারম্যান পদে দুর্গাপুর পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুনীল চট্টোপাধ্যায়কে পরবর্তী বরো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, এই বৈঠকে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এবং মন্ত্রী মলয় ঘটক সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেন এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ৪ নং বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ এবং দলত্যাগ করায় ৪ নং বরো চেয়ারম্যান পদটি খালি ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক দুর্গাপুরে এসে দুর্গাপুর পুরসভার কনফারেন্স হলে এক বৈঠক করে সুনীল চট্টোপাধ্যায়কে ৪ নং বরো চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করেন। এই বিষয়ে বর্ধমান ডটকমকে সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক। দীর্ঘদিন ধরে দল করছি, তাই চেয়ার না পেয়েও যেমন দলের হয়ে কাজ করেছি তেমনই দায়িত্ব পেয়েও কাজ সমান গুরুত্ব দিয়ে করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এদিন বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছে, যেমন প্রতি কাউন্সিলর তাঁদের এলাকা উন্নয়নের জন্য ১২ লাখ টাকার পরিবর্তে এবার থেকে ৩২ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। এবং পুরসভা এবং আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এলাকা উন্নয়নের যে সমস্ত কাজকর্ম আটকে রয়েছে সেইসব বিষয়ে তাড়াতাড়ি ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য মন্ত্রী মলয় ঘটক উদ্যোগ নেবেন। মন্ত্রী মলয় ঘটক আমাদের এই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।’