সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছিল দুর্গাপুরের পারুলিয়ার বছর ২৯-এর স্বরূপ সৌকে, দাবি পুলিশের। দেহ পাওয়া গিয়েছিল প্রতাপপুর পঞ্চায়েত অফিসের পাশে। ইতিমধ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের লাউদোহা থানার পুলিশ স্বরূপের মা সুলোচনা সৌ ও দাদা অরূপ সৌকে গ্রেফতার করেছে। সুদয় মোহন্ত নামে আরও এক কুখ্যাত সুপারি কিলারকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে লাউদোহার কালিনগর থেকে, খোঁজ চলছে পলাতক আরও এক দুষ্কৃতীর।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, জেরার মুখে স্বরূপের মা ও দাদা সব দোষ স্বীকার করেছে। লাউদোহার কালীনগর এলাকা থেকে ধৃত দুষ্কৃতীকে জেরা করে এখন পুলিশ পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। স্বরূপকে খুন করার জন্য কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুদয় মোহন্তর সাথে যোগাযোগ করে স্বরূপের দাদা ও মা। শুরু হয় আর্থিক লেনদেনের জন্য দর কষাকষি, শেষ পর্যন্ত দুই লক্ষ টাকার রফা হয় এই অপরাধ সংগঠিত করতে। প্রথম ধাপে এক লক্ষ টাকা সুদয় মোহন্তর হাতে দেওয়া হয়। টাকা পাওয়ার পর কুখ্যাত ওই দুষ্কৃতী আরও একজনকে নিয়োগ করে স্বরূপকে খুনের জন্য।
৯ নভেম্বর লাউদোহার প্রতাপপুর পঞ্চায়েত অফিসের পাশের জঙ্গল থেকে স্বরূপের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই বিজেপির জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতারা পারিবারিক এই ঘটনাকে রাজনীতির মোড়কে মুড়িয়ে দিয়ে এই ঘটনার দায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে থানা ঘেরাও থেকে মিছিলও করে। শেষ পর্যন্ত আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের তৎপরতায় খুনের দায়ে গ্রেফতার কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুদয় মোহন্ত, গ্রেফতার করা হয় স্বরূপের মা ও দাদাকে। বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় স্বরূপের মা ও দাদাকে। স্বরূপের মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা সুদয়কে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে, খোঁজ চলছে পলাতক আরও এক দুষ্কৃতীর।