৪৯ তম বর্ষে দুর্গাপুরের বিধাননগরের অভিজাত এলাকার পুজো ক্লাব স্যান্টোসে এবার ‘স্বপ্নের উড়ান’ থিমকে বাস্তবে রূপ দিতে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। শিল্পাঞ্চলের থিম পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বড় এক পুজো এই ক্লাব স্যান্টোস। জাতীয় সড়ক মুচিপাড়া থেকে বিধাননগরের প্রায় ঢিল ছোড়া দূরত্বে রামসীতা মন্দিরের পাশে ক্লাব স্যান্টোসের মাঠেই দুর্গাপুরের অন্যতম বড় এই পুজো মণ্ডপ। আসানসোলের কুলটির শিল্পী রজত মুখার্জি সহকর্মীদের নিয়ে মানুষের কল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন গত একমাস ধরে। শিল্পী স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতালের পরিবেশ এবং মানুষের বিভিন্ন কল্পনাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন পুজো মণ্ডপে।
মশারি সহ বিভিন্ন ফাইবার সামগ্রী ব্যবহার করা হলেও মূলত স্বপ্নের উড়ান থিমকে বাস্তবে রূপ দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়তে শিল্পী রজত মুখার্জি নীল-সাদা হাল্কা আলোর ছটাকেই বিশেষ ভাবে ব্যবহার করবেন বলে জানা গেছে। মণ্ডপে থাকছে থিমের সঙ্গে মানানসই দুর্গা প্রতিমা। পুজো মরসুমে বৃষ্টির আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় পুজো কমিটির সঙ্গে সঙ্গে শিল্পী অত্যন্ত সতর্ক ভাবেই মণ্ডপ প্রস্তুত করছেন বলে জানান ক্লাব স্যান্টোস পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ মুখার্জি এবং আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রজত ঘোষ।
দর্শক মনে আকর্ষণ ধরে রাখতে এখনই পুজোর থিম নিয়ে বিস্তারিত বলতে নারাজ ক্লাব কর্তারা। ক্লাব স্যান্টোসের এই দুই কর্তা এবছরের থিম স্বপ্নের উড়ান নিয়ে বিস্তারিত ভাবে না বললেও মন্দা বাজারের কথা মাথায় রেখে এবছর সীমিত বাজেটে পুজো করার কথা স্বীকার করেন। সৌরভবাবু বলেন, ‘সামনের বছর আমাদের পুজো ৫০ বছরে পদার্পণ করবে, তাই এবছর বাজেট খুব সীমিত রেখেই পুজো করছি। সামনের বছর বিগ বাজেটের পুজো হবে। বড় আকর্ষণ থাকবে ক্লাব স্যান্টোসের দুর্গোৎসবে।’ সৌরভবাবু ও রজতবাবু বলেন, ‘মন্দা বাজারের কথা মাথায় রেখেই এবছর আমরা সাধ্যের মধ্যেই পুজো করে সেরার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চাই। মণ্ডপে দর্শকদের টানাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য।’ পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জানান, অন্য বছরের মতো এবারও পুজোর চারদিন পুজো মণ্ডপের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য।