হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোর সোনার

আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার ঘোষ মার্কেটের বাসিন্দা বছর চব্বিশের কিশোর সোনার। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষমেশ কিশোর সোনার গলায় দড়ি বেঁধে দড়ির অন্য প্রান্তে ভারী বস্তু বেঁধে কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে দাবি পরিবারের। প্রতিবেশীদের চেষ্টায় কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, কিশোর সোনার দীর্ঘ দিন ধরে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। এক সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস করার দায়ে কপালে জুটেছে বহু মামলা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সুখদুঃখে দলের সঙ্গে থাকলেও কিশোরের রুজি রোজগারের সেরকম কোন ব্যবস্থা না থাকায় আর্থিক সঙ্কটে পড়ে গাড়ি চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের অনুরোধ করেও কিশোর সোনারের জন্য এলাকায় থাকা বহূ কারখানায় কোন ঠিকা কাজের ব্যবস্থা হয় নি। তাই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। শেষমেশ আশার আলো না দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোর গলায় ভারী বস্তু বেঁধে কুয়োর জলে ঝাঁপ দেয় বলে দাবি পরিবারের।

কিশোর সোনারের মা রেখা সোনার বলেন, ‘ছেলেকে কিভাবে চিকিৎসা করাব বুঝে উঠতে পারছিনা।’ কিশোর সোনারের বন্ধু দলীয় সহকর্মী তারক নাথ বোস বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক। তৃণমূল কংগ্রেস করার দায়ে সিপিএমের কাছে বহুবার মার খেয়েছি। বহু মামলা চলছে আমাদের বিরুদ্ধে। দল তো আমাদের দেখলো না অথচ সিপিএম থেকে যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে তাঁদেরই দলীয় নেতারা কাজকর্ম দিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি কলকারখানায়।’ তারকবাবু আক্ষেপ করে বলেন, ‘দলের পুরানো কর্মী কিশোরকে আর্থিক সঙ্কটের জন্য কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যেতে হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় টাকাও নেই‌।’

কিশোর সোনারের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর শুনে শুক্রবার দুপুরে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই কিশোর সোনারের বাড়িতে যান এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কিছু আর্থিক সহায়তা করেন।


Like Us On Facebook