সময়ে না আসা, কাজকর্ম ঠিক মত না করা নিয়ে অধস্তন এক কর্মীকে কর্তব্যরত এক মলের ইলেকট্রনিক্স স্টোরের ম্যানেজার প্রতিবাদ করতেই ক্ষুব্ধ অধস্তন ওই কর্মচারী পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ম্যানেজারের মাথায় ঠেকাল বলে অভিযোগ। অধস্তন ওই কর্মচারীর আর এক সঙ্গী প্রাণে মারার হুমকি সহ স্টোরের ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজারের কলার চেপে ধরতেই আতঙ্কিত স্টোরের কর্মীদের চিৎকারে চম্পট দিল ওই অধস্তন কর্মী ও তার সঙ্গী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে। দুর্গাপুরের বেনাচিতির ফরচুন প্লাজা মলের রিলায়েন্স ডিজিটাল স্টোরে।
রিলায়েন্স ডিজিটাল স্টোর সূত্রে জানা গেছে, ওই কর্মীর নাম দীপক গড়াই। স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভিড়িঙ্গীর বাসিন্দা। অভিযোগ, রিলায়েন্স ডিজিটাল স্টোরের ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার সৌভিক পাল স্টোরের এক কর্মী দীপক গড়াইকে সময়ে কাজে না আসা এবং ঠিকমতো কাজ কর্ম না করা নিয়ে বলতেই শনিবার অভিযুক্ত কর্মী দীপক গড়াই তাঁর দুই সাকরেদকে নিয়ে স্টোরে এসে ম্যানেজার সৌভিক পালকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়।
এই ঘটনার পর ওই স্টোরের ম্যানেজার সহ অন্যান্য কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক মোদী, এসিপি, ওসি সহ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং ঘটনার তদন্তে শুরু করেন। রিলায়েন্স ডিজিটাল স্টোরের ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার সৌভিক পাল ও স্টোর ম্যানেজার কমল হাসানের অভিযোগ, আমাদের স্টোরের কর্মী দীপক গড়াই সময়ে কাজে আসে না, কাজকর্ম ঠিক মত করে না। কিন্তু আমরা ম্যানেজমেন্টের নিয়মে দীপককে কিছু বললেই দীপক নিজেকে শাসকদলের ইউনিয়ন লিডার বলে পরিচয় দিয়ে প্রায়ই আমাদের হুমকি দেয়। অভিযোগ, শনিবার সৌভিক পাল দীপক গড়াইকে চাকরি নিয়ে সতর্ক করতেই দীপক গড়াই তার পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সৌভিক পালের মাথায় ঠেকায় ও দীপকের আর এক সাকরেদ সৌভিক পালের কলার চেপে ধরে।
সৌভিক পাল বলেন, ‘আমরা সকলেই চাকরি সূত্রে বাইরে থেকে এসেছি। কোম্পানি আমাকে কোম্পানির কাজ দেখাশোনার জন্য পাঠিয়েছে এখানে। কিন্তু কোন স্থানীয় অধস্তন কর্মীকে যদি অনিয়মিত কাজে আসার জন্য, কাজ না করার জন্য বলতে গেলে মাথায় রিভলভার ঠেকায়, প্রাণে মারার হুমকি দেয়, তবে তো এখানে স্টোর চালু রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
এই ঘটনার পর স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দীপক গড়াই আমাদের দলের সক্রিয় কোন সদস্য নয়। ও দলের কোন পদেও নেই।’ প্রভাত বাবু বলেন, ‘মনে হচ্ছে অহেতুক মলের ওই কর্মীকে নিয়ে দলের বদনাম করতে কোন পরিকল্পনা করে দলের নাম জড়ানো হচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে। তবু ঘটনার খবর শুনে আমি পুলিশকে বলেছি ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করে দোষীকে কড়া শাস্তি দিতে হবে।’
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?