ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির মধ্যে শুক্রবার সকালে রাস্তা দিয়ে গন্তব্য যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দ্রুতগামী বাস একটি বাইককে ধাক্কা মেরে সোজা গিয়ে ঢুকল রাস্তার পাশের একটি টালির ছাউনির বাড়িতে। বাড়ি ভেঙে চুরমার। এই ঘটনায় বাইক আরোহী দু’জন গুরুতর আহত হন। বাসের চালক, খালাসি ও কন্ডাক্টর সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান। স্থানীয় মানুষ বাইক আরোহী আহত বাবা ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’জনেরই আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের ২১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত এনআইটি’র ৭ নং গেটের কাছে বস্তি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর-বেনাচিতি রুটের সোনার বাংলা নামের বাসটি দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় চলা বাইক আরোহী বেনাচিতির রায় পাড়ার বাসিন্দা গদাধর পাল ও তাঁর মেয়ে আনিতা পালকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশেই একটি টালির ছাউনির বাড়িতে ঢুকে যায়। সেই সময় ওই বাড়িতে কোন লোকজন ছিলেন না। বাড়ির কর্ত্রী আশা যাদব জানান, দুর্ঘটনার সময় বাচ্চাকে স্কুলে দিতে গিয়েছিলেন। এসে দেখি আমার বাড়ির মধ্যে একটি বাস ঢুকে আমার বাড়িটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ ব্যস্ত এই রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সোচ্চার হন।
এদিকে বাইকের আরোহী আহত গদাধর পাল ও তাঁর মেয়ে আনিতা পালকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালের ভর্তি করিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিলেন ওই পাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ বুলবুল ঘোষ। বুলবুলদেবী বলেন, ‘আমরা যদি নিয়মের বেড়াজালের ভয়ে পথ দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে না যাই তাহলে তাজা প্রাণ গুলিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার সামিল হবে। আমি আমার সামাজিক কর্তব্য পালন করেছি। এটা সকলের করা উচিৎ।’
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?