দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপ ট্রাঙ্ক রোডে মঙ্গলবার সকালে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই সমর্থকের মধ্যে বাইক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বাঁচাতে এলে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীর মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা একজোট হয়ে প্রান্তিকা পুলিশ ফাঁড়িতে এসে পুলিশের দ্বারস্থ হন। খবর পেয়ে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মৃগেন পাল প্রান্তিকা পুলিশ ফাঁড়িতে ছুটে আসেন।

মৃগেন পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘ট্রাঙ্ক রোডে স্থানীয় বিজেপি কর্মী অতুল নামে এক গ্যারেজ মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাইকে ধাক্কা মেরে ঝগড়া বাধিয়ে মারধর শুরু করে দেয়। এরপর অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ছুটে এসে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বাঁচাতে গেলে প্রায় তিরিশ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। এই ঘটনায় শেখ আমিরুল ও বেনু শেখকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দু’জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ মৃগেন পালের অভিযোগ, কোন ইস্যু ছাড়াই ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। লোকসভা নির্বাচনে হারার ভয়ে বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এইসব মারধরের ঘটনা ঘটছে। এখানে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। নিজেদের ঘরের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে দোষমুক্ত হতে চাইছেন পুরসভার চেয়ারম্যান সাহেব।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এই ঘটনায় পুলিশ বেসন রুইদাস নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

Like Us On Facebook