মাস দেড়েক কেটে গেছে। মেয়ে মধুস্মিতার অঙ্গদান করেছিলেন বাবা দিলীপ বায়েন ও মা অর্চনা বায়েন। কঠিন ছিল সেদিনের সেই সিদ্ধান্ত। দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও দিলীপ বাবুর সহকর্মীরা সেদিন দিলীপ বায়েন ও অর্চনাদেবীকে মেয়ের অঙ্গদানের সাহস জুগিয়েছিলেন। তারপর সেদিন মধুস্মিতার বাবা-মায়ের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত অনেক মানুষের মনে দাগ কাটে।
শনিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে চতুরঙ্গ ময়দানে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত স্বাস্থ্যমেলা উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলে অঙ্গদানের সচেতনা নিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে মধুস্মিতার বাবা-মা ও ছোট বোন পিঙ্কিও পা মেলাল। জানা গেছে, পিঙ্কি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বাঁকুড়ার মেজিয়া পাওয়ার প্লান্টে সিআইএসএফে কর্মরত মধুস্মিতার বাবা দিলীপ বায়েন বলেন, ‘আমাদের সেদিনের সিদ্ধান্ত খুব কঠিন ছিল। কিন্তু মিশন হাসপাতালের চিকিৎসক ও আমার সহকর্মীদের জন্যই সেদিন সেই কঠিন সিদ্ধান্ত আমি ও আমার স্ত্রী নিতে পেরেছিলাম। আমি চাই আমাদের মতো সকলেই অঙ্গদানের অঙ্গীকার করুন।’ এদিন মিশন হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডাঃ পার্থ পালও এই মিছিলে পা মেলান।