স্থানীয় সংবাদ পত্র কুনুর কথার সহযোগিতায় প্রখ্যাত পালাকার সাধককবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্রের শুটিং হল দুর্গাপুরের ধবনী গ্রামে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হবে। চার মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হবে। স্থানীয় শিল্পীরা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন। দুই ঘণ্টার সিনেমা। প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হচ্ছে এই সিনেমাটি তৈরি করতে।
জানা গেছে, বিভিন্ন সোস্যাল সাইট সহ বিভিন্ন চ্যানেল ও আর্ট গ্যালারিতে অবিভক্ত বর্ধমান জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পালাকার সাধককবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়এর জীবনী নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্রটি দেখানো হবে। দুর্গাপুরের লাউদোহার ধবনী গ্রামে ১২৪৮ বঙ্গাব্দের ৬ মাঘ বাবা বামাচরণ মুখোপাধ্যায় ও মা সরস্বতীদেবীর অচল সংসারে নীলকন্ঠের জন্ম হয়। শিশু বয়স থেকেই সঙ্গীতের প্রতি প্রবল টানে সঙ্গীত শিক্ষক গোপাল চন্দ্র রায়ের কাছে নীলকন্ঠের সঙ্গীত শিক্ষা হয়। পরে বিখ্যাত পালাকার গোবিন্দ অধিকারীর সান্নিধ্যে জ্ঞান অর্জন করে নীলকন্ঠ নিজে কৃষ্ণযাত্রার দল গড়েন। সেই সময় নীলকন্ঠের যাত্রা দলের খ্যাতি চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর পর হেতমপুরের রাজা নীলকন্ঠের পালাগান শুনে নীলকন্ঠকে আটটি মৌজা ও চার বিঘা জমির জঙ্গল দান করেছিলেন। হেতমপুরের রাজার দরবারে সেই সময় নীলকন্ঠের যাত্রাপালা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হত। তাছাড়া সেই সময় বর্ধমানের রাজবাড়ি, কাশীপুর রাজবাড়ি, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি সহ সমস্ত বিখ্যাত রাজবাড়ি ও জমিদারবাড়িতে নীলকন্ঠের ভক্তিমূলক পালাগান নিয়মিত অনুষ্ঠিত হত। রাজবাড়িগুলিতে সাধক কবির অবারিত দ্বার ছিল বলে জানা যায়। এমনকি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও স্নেহধন্য সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়কে বর্তমান প্রজন্ম প্রায় চেনেই না। তাই চলচ্চিত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কুনুর কথার সম্পাদক চুনিলাল মুখোপাধ্যায়।