দামোদর সহ রাজ্যের বিভিন্ন নদীর সংস্কার করতে আর কেন্দ্র সরকারের উপর নির্ভরশীল থাকব না, তিস্তার মত রাজ্য নিজেই দামোদর সহ রাজ্যের সমস্ত নদীর সংস্কারের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়ে নেবে। রবিবার দুর্গাপুরে দামোদর ব্যারেজের ক্ষতিগ্রস্ত লকগেটের মেরামতির কাজ শেষ হবার পর জলশূন্য দামোদর জলে পূর্ণ হতেই রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দামোদর ব্যারেজ পরিদর্শনে এসে একথা বলেন। সেচ মন্ত্রী এদিন দামোদর ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতায় কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি বিগত বাম সরকারকেও একহাত নেন।
এদিন সেচমন্ত্রী দামোদর লকগেট বিপর্যয় নিয়ে সেচ সচিব ও চিফ ইঞ্জিনিয়রকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার দুর্গাপুরে দামোদর ব্যারেজ পরিদর্শনে এসে দামোদর ব্যারেজের নিরাপত্তার জন্য শীঘ্রই সিসিটিভি বসানোর কথা ঘোষণা করেন। রাজীববাবু বলেন, যেভাবে দামোদর রবিবার সারা দিন ধরে জলে পূর্ণ হল তাতে সোমবার সকাল থেকেই পাম্প করে জল সরবরাহ করা যাবে। সেচমন্ত্রী বলেন, দামোদর ব্যারেজ থেকে যে পরিমাণ জল বেরিয়ে গেছে তাতে বোরো চাষে ক্ষতির কোন সম্ভবনা নেই। সেচ মন্ত্রীর দাবি, প্রতি তিন মাসে দামোদর থেকে মোট জলের ৫% জল বাষ্প হয়ে যায় আর জলাধারের মাত্র ০.২% জল দামোদর থেকে এই বিপর্যয়ে বেরিয়ে গেছে। সেচ মন্ত্রী দুই বিষয় তুলনা করে এদিন বলেন সেচের জন্য অনেক বেশী জল জমা রয়েছে রাজ্য সেচ দপ্তরের কাছে। স্বাভাবিক ভাবে চাষীভাইদের অভয় দেন সেচমন্ত্রী।
রবিবার সেচমন্ত্রী দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল ও দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তিকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দামোদর জলপূর্ণ হলেই ভাসমান লকগেট লাগানোর পরই ব্যারেজে মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হবে। এদিন দামোদর ব্যারেজে পরিদর্শন করে সেচ দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠক সারেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে দামোদর ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেন সেচ মন্ত্রী। এদিকে এদিনও দামোদর ব্যারেজ দেখতে মানুষের ঢল নামে।