যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজের বেঁকে যাওয়া ১ নম্বর লক গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া প্রবল জলরাশি রুখতে বালির বস্তা ও একটি ভাসমান লক গেট দিয়ে রাত্রিকালীন পরিস্থিত সামলানোর চেষ্ঠা করছে ডিভিসির ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা বলে জানা গেছে। জানা গেছে, ডিভিসির সঙ্গে সঙ্গে গোটা পরিস্থির উপর কড়া নজর রাখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সেচমন্ত্রী। প্রশাসনিক সমস্ত আধিকারিকরা পরিস্থিত স্বাভাবিক করতে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষও ক্রেন সহ বিভিন্ন সহযোগিতা দেবার আশ্বাস ডিয়ে ডিভিসর পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পানীয় জল সংকটের আশঙ্কায় গোটা দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় শুক্রবার। আগামী দুই দিন পানীয় জল অপচয় বন্ধ করতে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে জুড়ে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ডিএসপির নিজস্ব টিভি সহ বিভিন্ন মধ্যমে শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার করেন। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন পানীয় জল সঙ্কট যাতে না হয় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে তাই রাতে দামোদর ব্যারেজের লক গেটের কাজ হচ্ছে। এদিকে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের পানীয় জল সঙ্কটের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়া এলাকার মানূষ বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোররাতে দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজের ১ নম্বর লক গেট বেঁকে গেলে প্রচুর জলরাশি বের হতে থাকে। আপদকালীন পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া বন্ধ রেখেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বলে জানা গেছে। এই খবর চাউর হতেই জল সঙ্কট ও বন্যার আতঙ্ক ছড়ায়।