বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দামোদর ব্যারেজের লকগেট মেরামতির কাজ সম্পন্ন হতেই পাঞ্চেত ড্যাম থেকে জল ছাড়া শুরু হয়। সেই জলে ধীরগতিতে ভরে উঠছে দুইর্গাপুর ব্যারেজ। দামোদর ব্যারেজ জলে ভরে উঠতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর দুর্গাপুর পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ করার ফিডার ক্যানেলে জলস্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে সেই জল সরবরাহ হবে দুর্গাপুরবাসীর জন্য। শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ একথা জানান দুর্গাপুর পুরসভার জল দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ পবিত্র চট্টোপাধ্যায়।
পবিত্রবাবু বলেন, ‘লকগেট এর কাজ শেষ হতেই গতকাল রাত থেকে দামোদর ব্যারেজে জল ভরার কাজ শুরু হয়। পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হয়েছে। সেই জল ধীরগতিতে দামোদরে পড়ছে। এখন অবধি দামোদরের যা জলস্তর রয়েছে তাতে এখনই জল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। আমরা আশা করছি আজ, শুক্রবার রাত ন’টার মধ্যে জলস্তর যথেষ্ট বেড়ে যাবে। হয়তো মধ্যরাত্রি বা শনিবার সকাল থেকে দুর্গাপুরে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দাস বলেন, ‘আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ৩১ নং লকগেটটি সিল করে দিয়েছি। এখন দামোদর ব্যারেজের জলস্তর বাড়ছে। দামোদর ব্যারেজের জলস্তর ২১১.৫ পয়েন্টে পৌঁছলেই ফিডার ক্যানেল থেকে জল নিয়ে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।’ রাতেই জলের সমস্যা মিটে যাবে বলে দাবি জয়ন্তবাবুর। তিনি জানান, ৩১ নং লকগেটটির সামনে একটি ফ্লোটিং লকগেট বসানোর কাজ চলছে। পরবর্তী সময়ে ভাঙা লকগেটটি সরিয়ে ফেলে নতুন লকগেট বসানো হবে। এবং একে একে আরও ৩২ টি পুরানো লকগেট সরিয়ে নুতন লকগেট বসানো হবে।