এক যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ প্রেমিকা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মেমারি থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কুচুট গ্রামে। মৃত ওই যুবকের নাম ব্রজগোপাল গঙ্গোপাধ্যায় (২৬)। মৃত যুবক উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। সেখানেই মেসে থাকতেন তিনি। গত সোমবার বারাসতেই দলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ব্রজগোপাল। মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কুচুটে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কুচুট গ্রামের যুবক ব্রজগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই এলাকারই এক যুবতীর প্রায় চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে মৃতের পরিবারের দাবি। দুই পরিবারের মধ্যে তাঁদের বিয়ে নিয়ে কথাও হয়েছিল বলে জানা গেছে। মৃত যুবকের মায়ের অভিযোগ, ওই যুবতী কিছু দিন আগে তাঁর ছেলেকে ফোন করে জানায়, সে এই বিয়েতে রাজি নয়। এ ছাড়াও ওই যুবতীর পরিবার এবং অভিজিৎ রেজ নামে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারও ব্রজগোপালকে ফোন করে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর পরিবারের দাবি, এর পরেই ব্রজগোপাল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
এদিকে ব্রজগোপালের মৃত্যুর খবর পেতেই সোমবার কুচুট গ্রামে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃত যুবকের প্রেমিকা এবং অভিজিৎ রেজ নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধরে নিয়ে এসে যুবতীর মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তাও অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ এসে ওই যুবতী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই দু’জন ছাড়াও যুবতীর বাবা এবং দিদিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত যুবতী বলেন, ‘আমার কোনও দোষ নেই, ব্রজগোপাল খুব মদ্যপান করত। আমি শুধু জানিয়েছিলাম যে মদ্যপান না ছাড়লে আমি বিয়ে করব না।’ মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?