জল না কমায় শনিবার রাতে দুর্গাপুরে দামোদর ব্যারেজের ৩১ নং ভাঙা লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করা গেল না। লকগেটটি সংস্কারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থার কর্মী শ্যামলেন্দু পাল জানান, দামোদর ব্যারেজ জলশূন্য হয়ে গেলেও ৩১ নং লকগেটটি অন্যান্য লকগেটের তুলনায় বেশ নিচু। তাই ব্যারেজের জল এখনও বেশ স্রোতের সঙ্গেই বেরিয়ে যাচ্ছে ৩১ নং লকগেট দিয়ে। বালির বস্তা ফেলে জল আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জল কমলেই লকগেটটির সংস্কার করার কাজ শুরু করা হবে।
শ্যামলেন্দু পাল আরও বলেন,’আজ, রবিবার দুপুর নাগাদ লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি। লকগেটের সংস্কারের জন্য সমস্ত সরঞ্জাম চলে এসেছে। এখন শুধু ৩১ নং লকগেটে জলস্তর কমলেই কাজ শুরু করে দেব আমরা তার অপেক্ষায় রয়েছি।’
এদিকে, দামোদর ব্যারেজের পাশ্ববর্তী এলাকায় বাসিন্দারা বার বার দামোদর ব্যারেজের লকগেট ভাঙা এবং বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে চোরা পথে মাছ ধরাকে দায়ী করছেন। ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে সরকারের উচিত কি কারণে এইভাবে দামোদর ব্যারেজ বার বার বিপর্যযের মুখোমুখি হচ্ছে তার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, দামোদর ব্যারেজের লকগেট বিপর্যয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার দুর্গাপুর পুরসভা শনিবার থেকেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে জোর তৎপরতা শুরু করে। প্রয়োজনীয় জলের সরবরাহ চলছে শহর জুড়ে। বিশেষ করে দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপে শনিবার ও রবিবার সকাল পর্যন্ত জল সরবরাহের কোন খামতি হয় নি বলে জানান বাসিন্দারা। দুর্গাপুরের অন্যান্য জায়গাতেও রবিবার সকাল পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহে কোন বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানা গেছে। জল কমে যাওয়ায় দামোদর ব্যারেজ এলাকার মানুষ প্রচুর মাছ ধরে বিক্রি করছেন।