অজয় ও দামোদরে পলি জমে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। ফলে জল ধারণ ক্ষমতাও কমে যাওয়ায় অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি উভয় সময়েই বন্যা ও খরায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দুই জেলার দুই নদী সহ সমস্ত উপনদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ও জল ধারণ করে সেই জল খরা প্রবণ এলাকায় কৃষি কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকার এক মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। ওই মাস্টার প্ল্যানের নাম ‘ঊষরমুক্তি’। ঊষরমুক্তিকে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত করে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৬টি ও বীরভূম জেলার ৪টি মোট ১০টি ব্লকে সমস্ত নদী-উপনদীর পলি কাটার কাজ শুরু হচ্ছে। সোমবার দুর্গাপুরের সৃজনীতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঊষরমুক্তি নিয়ে এক কর্মশালার় আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাধিপতি মদন বাউরী, উন্নয়ন দপ্তরের এডিএম শঙ্খ সাঁতরা সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলা ও বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
Like Us On Facebook