পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বৃহস্পতিবার। পুলিশ এসে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বামীর মৃতদেহ একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের গোপাল মাঠের মেজেডিহি প্লটের ঘোষ পাড়ায়। মৃত ব্যক্তির নাম তপন ঘোষ (৪৪)। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর নাম বনলতা ঘোষ। বনলতাদেবীর বাবার বাড়ি দুর্গাপুরের শোভাপুরে। ২০০৮ সালে তপন ঘোষ ও বনলতাদেবীর বিয়ে হয় বলে জানা গেছে। তপনবাবু ও বনলতাদেবীর নয় বছরের একটি মেয়ে আছে।
পড়শীরা জানান, বুধবার রাতে তপন ও বনলতার মধ্যে তুমুল বচসা হয়। তপন ক্ষিপ্ত হয়ে বনলতার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বনলতার শরীর অর্ধেকাংশ পুড়ে যায়। তপন ও বনলতার মেয়ে ছুটে এসে তাঁদের বলে মাকে বাবা কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পড়শীরা তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ বনলতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে তামলা গ্রামের মানুষের খবরের ভিত্তিতে একটি গাছ থেকে এক ব্যক্তির নগ্ন ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ পরে জানতে পারে ওই মৃতদেহটি বনলতার স্বামী তপন ঘোষের। তপনবাবু স্ত্রীর সঙ্গে বচসার পর স্ত্রীকে আগুন লাগিয়ে নিজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বলে জানা গেছে। পরে গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তপনবাবু।