শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণে দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। চরম দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। দুর্গাপুরের লাউদোহার মাধাই গঞ্জ, কৈলাশপুর, আমদহী, ইচ্ছাপুর, গৌর বাজার এলাকায় লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে অন্ডালের শ্রীরামপুর, মদনপুর,কুটির ডাঙ্গা সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলিতে কৃষি জমি ও দামোদর সহ বিভিন্ন নদীতে ছাপিয়ে জল বইতে থাকায় প্রশাসন দামোদর ব্যারেজে লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে। অন্ডাল স্টেশনের আন্ডার পাশটি জলমগ্ন হয়ে নদীর চেহারা নেয়। এদিকে কাঁকসায় প্রবল বর্ষণে দুটি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে বলে জানা যায়।

দুর্গাপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়। ১৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা তামলা নদীর জলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাড়িতে তামলা নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চাঁদদেবী ডালমিয়া প্রাইমারি স্কুল ও স্থানীয় উর্দু স্কুলে। স্কুলেই দুর্গত মানুষকে ব্স্ত্র দান ও খিচুড়ি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের তরফে। ২০ ও ২১ নং ওয়ার্ডের গোটা এলাকা ভেসে যায় দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের নির্গত নালার জলে। বিদ্যাসাগর পল্লী ও শ্রী নগর পল্লী ও ভিড়িঙ্গী চাষী পাড়ার বিভিন্ন বাড়িতে নিকাশী নালার জল ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বাড়ির জিনিস পত্র খাটের উপর রেখে বসবাস করছেন বাসিন্দারা। ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা এলাকায় নিকাশী নালার সংস্কার না ঘটানোর জন্য দুর্গাপুর পৌর সভার প্রাক্তন কাউন্সিলরদেরই দায়ী করছেন। তাছাড়া ২৫ নং ওয়ার্ডের ফুলঝোড়, মহালক্ষী পার্ক, স্টিল পার্কের বিভিন্ন এলাকা কমবেশী বৃষ্টির জল জমে যায়। রাস্তার উপর দিয়ে নদীর আকারে বইতে থাকে বৃষ্টির জল। দুর্গাপুরের ৩৯, ৪১ ও ৪২ নং ওয়ার্ডে টানা বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন কড়া নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কর্মীরা দুর্গত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এদিকে দামোদর ব্যারেজে প্রবল জল বইতে থাকায় প্রচুর মানুষ ভিড় জমান ব্যারেজে। উল্লেখ্য, ডিভিসির পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৬ টার বার্তায় জানানো হয়েছে দামোদর থেকে ১ লক্ষ ৩১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

Like Us On Facebook