কেউ হাজার দুই টাকা আবার কেউ এক বা দেড় হাজার টাকা। নিজেদের গাড়ি বা বাইকে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে রাস্তায় বের হতেই পরপর গাড়িগুলি বিভিন্ন এলাকায় একে একে খারাপ হতে থাকে। কয়েকদিন আগে একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল আসানসোলের একটি পাম্পে।

ধনঞ্জয় ঘোষ এই রকমই এক ক্রেতা যিনি দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এ-জোনের সুপার সার্ভিস স্টেশনে তাঁর দামি চারচাকা গাড়িতে পেট্রোল ভরে রাস্তায় উঠতেই গাড়ি থেমে যায়। স্থানীয় মেকানিককে দেখাতেই আসল রহস্য বের হয়ে যায়। মেকানিক জানান গাড়িতে তেলের ট‍্যাঙ্কে তেলের সঙ্গে জল রয়েছে তাই গাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে এবং গাড়িটির ইঞ্জিন সিজ হয়ে যেতে পারে সেই বিপদের কথাও জানান। এরপরেই ধনঞ্জয়বাবু ‌ওই পেট্রোল পাম্পে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কেবলমাত্র ধনঞ্জয়বাবুই নন অন্যান্য গাড়ি ও বাইক চালকরা যারা এই পাম্পে শনিবার সকাল থেকে তেল নিয়েছেন তাঁদের দুই বা চারচাকা গাড়িতে সকলেই এসে রাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার পর তেলে জল মেশানোর অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই খবর চাউর হতেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই পাম্পে জড়ো হয়ে তেলের সাথে জল মিশিয়ে বিক্রির প্রতিবাদ জানান। কেউ কেউ পাম্পটিকে সিজ করে দেবার দাবিও জানান পুলিশের কাছে।

পাম্পের ম‍্যানেজার বাপি বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য তেলের সঙ্গে জল মিশে যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান, বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয় অতি বৃষ্টিতে মজুত তেলের ট্যাঙ্কে জল ঢুকেই বিপত্তি ঘটেছে। সেই দাবিকে সামনে রেখে ক্রেতাদের বিকল গাড়িগুলি মেকানিক দিয়ে মেরামত করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিলে‌ ক্ষুব্ধ ক্রেতারা শান্ত হন। তদন্তের জন্য পাম্পটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে তেলের পরিমাণ কম দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও তেলের সঙ্গে জল মিশিয়ে বিক্রির ঘটনা দুর্গাপুরে জনমানসে খুব দাগ কেটেছে।


Like Us On Facebook