দুর্গাপুরের বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীতে শুক্রবার গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের শনিবার দুর্গাপুর আদালতে পুলিশ হাজির করলে বিচারক মৃতের স্বামী সৌমেন দেকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজত এবং শ্বাশুড়ি কুন্তলা দে সহ অন্যান্যদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

শুক্রবার বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীর গৃহবধূ ময়ূরী ওরফে রিয়ার দেহ শ্বশুরবাড়িতে বাথরুমের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ময়ূরীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ময়ূরীর মা চন্দ্রানী মুখার্জীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামী সৌমেন দে শ্বাশুড়ী কুন্তলা দে ননদাই সুজন সাহা, খুড়শ্বশুর সুবোধ দেকে শুক্রবারই গ্রেপ্তার করে। শনিবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক মৃতার স্বামী সৌমেন দেকে পুলিশি জেরার জন্য সাত দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের জেল হেফাজতে পাঠান।

জানা গেছে, মাত্র তিন মাস আগে দুর্গাপুর স্টিল টাউন শিপের বি-জোন মেঘনাদ সাহা রোডের বাসিন্দা ময়ূরী মুখার্জির সঙ্গে বেনাচিতির শ্রীনগর পল্লীর সৌমেন দে’র সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়েতে পাত্রের দাবি মত পণও দেওয়া হয় বলে জানান চন্দ্রানীদেবী। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে ময়ূরীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শুক্রবার ময়ূরীর স্বামী সৌমেন ময়ূরীর মা চন্দ্রানীদেবীকে তাড়াতাড়ি আসতে বলায় চন্দ্রানীদেবী মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে বাথরুম থেকে অর্ধদগ্ধ মৃত মেয়েকে উদ্ধার করেন। এর পরই সৌমেন সহ মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন চন্দ্রানী মুখার্জী।

Like Us On Facebook