স্কুলের হস্টেল থেকে দুই ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ায় ফের বিতর্কে জড়াল দুর্গাপুরের নারায়ণা স্কুল কর্তৃপক্ষ। ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী সোমবার সকালে স্কুল চত্বরের হস্টেল থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায়। ষষ্ঠ শ্রেণির ওই দুই ছাত্রীর একজনের বাড়ি বীরভূমের নলহাটি ও অন্যজনের বাড়ি বাঁকুড়া। সোমবার সকালে হস্টেল এই দুই ছাত্রীকে হস্টেল সুপার দেখতে না পেয়ে দুই ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেন়। একই সঙ্গে দুর্গাপুরের এনটিএস থানায় খবর দেয় নারায়ণা স্কুল কর্তৃপক্ষ।এরপরই খবর পেয়ে দুই ছাত্রীর পরিবার দুর্গাপুরের নারায়ণা স্কুলে ছুটে আসেন। ইতিমধ্যে পুলিশও দুই ছাত্রীর খোঁজে তৎপরতা শুরু করে দেয়। এর পরই নলহাটি বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই ছাত্রীর খোঁজ পেয়ে স্কুলে আনা হয় দুই ছাত্রীকে।
এদিকে স্কুলের হস্টেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় দুই ছাত্রীর পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের ছাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এক ছাত্রীর বাবা বদরে আলম বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তির সময় প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে কেবলমাত্র টাকা নেয়। অথচ স্কুলে ছাত্রীদের কোন নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে যেভাবে আমাদের মেয়েরা হস্টেল থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল তা অবিশ্বাস্য। বদরে আলমের অভিযোগ, এই হস্টেলে ছাত্রীদের কোন সুবিধা দেয় না স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, এই ভাবে নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে মেয়েকে আর এই স্কুলে পড়ানো সম্ভব নয়। অপর ছাত্রীর বাবা হিমাংশু মন্ডল ও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, গার্লস হস্টেল কিন্তু হস্টেলে কোন সিসিটিভি নেই। নেই কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী। অথচ বহুগুণ টাকা দিয়ে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে কেবলমাত্র দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে নিখোঁজ দুই ছাত্রী সোমবার সকালে নিরাপত্তা রক্ষীদের ডিউটি চেঞ্জ টাইমের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। জানা গেছে বীরভূমের ছাত্রীটি বাড়ি পালানোর উদ্দেশ্যে সঙ্গী করে অপর ছাত্রীকে। হস্টেল থেকে বাড়ি পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা সেই রহস্য উন্মোচন করতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরাও বিষয়টি জানতে পেরে উদ্বিগ্ন। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন।