ডিএভি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে মহকুমাশাসক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের ত্রিপাক্ষিক মিটিং মঙ্গলবার ফলপ্রসূ হলেও এবছরে তার কোন সুফল মিলবে না। মঙ্গলবার সন্ধে ৬ টা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত টানা দু’ঘন্টা মিটিং হয় মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতান্তর হতে থাকে। শেষমেশ মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা উভয়ের কথা শুনে একটি সমাধানের পথ বের করেন যা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা উভয়েই মান্যতা দেয় বলে জানা গেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এবছরের ফি যা ধার্য্য করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকছে কারণ স্কুলের যেহেতু বাজেট এবছর সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে তাই আগামী ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ দুই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে কোন বার্ষিক ফি বৃদ্ধি করা হবে না। তার পরবর্তী বছরগুলিতে স্কুলে ফি বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকদের দু’জন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ফি বৃদ্ধি করতে পারবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফি ৩৭০০০ টাকা থেকে কিছুটা কমানোর বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। স্কুলের ফি মে মাসের ২০ তারিখের পরিবর্তে মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন অভিভাবকরা।
মহকুমা শাসকের মধ্যস্থতায় স্কুলের অচলাবস্থার সমাধান সূত্র বের হওয়ায় তিন পক্ষই খুশি। মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা বর্ধমান ডট কমকে বলেন, মিটিং ফলপ্রসূ হয়েছে। এবছর স্কুল কর্তৃপক্ষ ফি কমাতে পারছে না, স্কুলের যেহেতু বাজেট হয়ে গেছে তাই সামনের পর পর দু’বছর স্কুলের বার্ষিক ফি বাড়াবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বার্ষিক ফি বৃদ্ধি করবে।