এবার ট্রাফিক আইন ভাঙলে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীকে আর্থিক জরিমানার সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে। দুর্গাপুরের ট্রাফিক পুলিশ জন সচেতনতা বাড়াতে এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়ায় সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জনচেতনা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগের কথা বলা হলেও শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে যাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই আইন ভঙ্গকারী পিন্টু গুহ বলেন, আমি রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। পেশায় গাড়ি চালক। ২৩ আগস্ট গাড়ি চালিয়ে ডিভিসি মোড় হয়ে বড়জোড়া যাচ্ছিলাম। ডিভিসি মোড় এলাকায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে গাড়ি চালোনো নিষিদ্ধ তা আমি জানতাম না। আমার গাড়ির গতি বেশি ছিল। গাড়ির গতি বেশি থাকায় আমার গাড়ি ট্রাফিক পুলিশ ধরে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে। সঙ্গে ছশো টাকা আর্থিক জরিমানা ও ট্রাফিক আইন জানতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকরা। আমি ট্রাফিক আইনের পাঠ নিইনি কোন দিন, কিন্তু পুলিশের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। তিন দিন ধরে দু’ঘন্টা করে আমাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করার পর আমার লাইসেন্স ফেরৎ পাই ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে।
শিল্পাঞ্চলের অনেকে ট্রাফিক পুলিশের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও শিল্পাঞ্চলের অনেক মানুষই ট্রাফিক পুলিশের এই অভিনব উদ্যোগকে শাস্তি হিসেবেই দেখছেন। যদিও দুর্গাপুর ট্রাফিক পুলিশ পিন্টু গুহকে এই ট্রাফিক আইনের পাঠ দেওয়ার ব্যাপারটা শাস্তি বলে মনে করছেন না। ট্রাফিক পুলিশের এসিপি শ্বাশতী সামন্ত বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সাধারণ মানুষকে ট্রাফিক আইন নিয়ে সচেতন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।