দুর্গাপুরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিল্পের কথা একবারও বলেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিল্পাঞ্চলের বন্ধ কলকারখানা খোলার কথা বলবেন ভেবেছিলেন শিল্পাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানুষের সেই ভাবনায় আঘাত করে সততার প্রতীক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তাই দুর্গাপুরের মানুষ নরেন্দ্র মোদীর বিজেপিকে একটিও ভোট যে দেবে না সেই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস।
২ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে নেহেরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা হয়। আজ, বুধবার নেহেরু স্টেডিয়ামের ঠিক পিছনে দুর্গাপুরের তিলক ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা জনসভা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই জনসভায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে মিথ্যাবাদী বলে অভিযোগ করেন। অরূপবাবু বলেন, ‘প্রতি বছর ২ কোটি বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গত পাঁচ বছরে ১০ কোটি বেকার তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বেকার তৈরিতে গত ৪৫ বছরের রেকর্ড গড়েছেন নরেন্দ্র মোদী।’
অরূপবাবু এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলার বুক চিরে পবিত্র গঙ্গা বয়ে গেছে। পবিত্র গঙ্গাজলে পদ্মফুল ফোটে না। তাই বাংলা নয় অন্য জায়গা খুঁজুন পদ্মফুল ফোটানোর জন্য।’ অরূপবাবু নরেন্দ্র মোদীর জনসভার পাল্টা জনসভায় এদিন দ্বিগুণ উপস্থিতর দাবি করে সকলকে স্যালুট জানিয়ে বলেন আমরা ৫-০ গোলে নরেন্দ্র মোদীকে হারিয়ে দিলাম আজ। এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও স্বপন দেবনাথ সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিনের মঞ্চে রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক ও স্বপন দেবনাথ সহ সকল বক্তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর আর্জি জানান।