বহুপ্রতিক্ষিত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গাপুর পৌর সভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হল। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের অম্বুজা আবাসনে তৃণমূল কংগ্রেসের শিল্পাঞ্চল মহকুমা কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার এক সাংবাদিক বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপুর পৌর সভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গাপুর পৌর সভার দায়িত্ব প্রাপ্ত পর্যবেক্ষক তথা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়।
তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, মেমারির বিধায়ক সুভাষ মন্ডল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের মহকুমা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম মুখার্জী। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তাপস বাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল দুর্গাপুরের সকল প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত দাবি করে ফের দুর্গাপুর পৌর সভা দখলের দাবি করেন। একই সঙ্গে দুর্গাপুরের নতুন মুখকে সামনে আনতেই পুরানো কাউন্সিলরদের জায়গায় নতুনদের সুযোগ দেওয়া হল বলে সুকৌশলে স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন কাউন্সিলরদের বাদ প্রসঙ্গ এবং মেয়র পদপ্রার্থী কাউন্সিলরের নাম ঘোষণা না করার প্রসঙ্গও এড়িয়ে যান।
সাংবাদিকরা প্রাক্তন মেয়র সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সদ্য প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখার্জী নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও দলের ফাউন্ডার মেম্বার ও দলের সম্পদ অপূর্ব মুখার্জীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত করতে চলছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলে ঘোষণা করেন এদিন তৃণমূলের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা তাপস বন্দোপাধ্যায়। এদিনের তৃণমূল কংগ্রসের তালিকা প্রকাশ কার্যত রুদ্ধদ্বার সাংবদিক বৈঠকে করা হয়। তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের কোন প্রবেশাধকার ছিল না। মহকুমা কার্যালয়ের ধার পাশেও কোন তৃণমূলের দলীয় কর্মীকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠান চলাকালিন।
সূত্রের খবর অনেক প্রভাবশালী কাউন্সিলরকে দুর্নীতির ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এবার পৌরসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় টিকিট না দেওয়ায় দল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্কতার জন্য এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠান হঠাৎ করেই আয়োজন করা হয়। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর অনেক কাউন্সিলরের নাম না থাকার খবর চাউর হতেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়। বাদ পড়া কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে ঘোষিত প্রার্থীদের মেনে প্রচারে নামবেন নাকি গোঁজ প্রার্থী হয়ে নির্দলের টিকিটে নিজ দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সেটাই এখন শিল্পাঞ্চলের সকলের কাছে সব চেয়ে বেশি কৌতুহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।