সকাল থেকে বাঁকুড়া মোড় সহ দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মঘট রুখতে পুলিশ ধৈর্য দেখালেও শেষমেষ পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে ধর্মঘটীদের উপর লাঠিচার্জ করল। দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় এলাকায় ২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে গেলে ধর্মঘটী সিপিএম ও কংগেস কর্মীদের উপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে অবরোধ তুলে দেয়। পাল্টা পতাকার লাঠি হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলেও ধর্মঘটীদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। পুলিশ ও ধর্মঘটীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ডিভিসি মোড় এলাকা এদিন উতপ্ত হয়। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরের অন্যান্য এলাকায় আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি হয় নি। কেবলমাত্র ডিভিসি মোড় এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশের লাঠিচার্জে কমবেশী ৪৫ জন ধর্মঘটী সিপিএম ও কংগেস কর্মী আহত হন বলে সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের দাবি। পঙ্কজ রায় সরকার নিজেও আহত হন বলে জানান। অনেক দলীয় কর্মীদের পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন পঙ্কজবাবু। এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধের নেতৃত্বে থাকা সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, পুরুষ পুলিশকর্মীরা নির্মম ভাবে মহিলা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং মহিলা কর্মীদের রাস্তায় ফেলে দেয়। পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানার পুলিশ লোহা চুরি, বালি পাচারে কাটমানি খায়। সিপিএম কর্মীরা এর প্রতিবাদে সরব হয় সারা বছরই। তাই পুলিশ আজ সুযোগ পেয়ে প্রতিশোধ নিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করেছে।’ পুলিশ প্রশাসন থেকে এই লাঠিচার্জের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্গাপুরে গ্রেফতারের কোন খবর নেই।