স্কুলের মধ্যে ক্লাসের অবসরে ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে কখনও চুল বাছানো কখনও আবার মাথা, ঘাড় টেপানো – এই ছিল পানাগড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের রোজ নামজা। স্কুলের সময়ে পড়ু্যাদের দিয়ে এইসব কাজ করানোর দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমাজের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। আর এতেই রেগে খাপ্পা শিক্ষক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়।
শিক্ষক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং ছাত্র-শিক্ষক নিবিড় সম্পর্ককে কলুষিত করতে এক শ্রেণির মানুষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিস্মিত ও ব্যাথিত। আমি যা কিছু করেছি স্কুলের প্রকাশ্য স্থানেই করছি। কোন গোপন স্থানে করি নি। এতেই বোঝা যায় আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’
কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের এই যুক্তি মানতে নারাজ অভিভাবক মহল। তাঁদের অভিযোগ একজন শিক্ষক স্কুলের ভিতর কি এই ভাবে পড়ুয়াদের দিয়ে গা-মাথা টেপাতে পারেন? অভিভাবকদের দাবি, স্কুল পড়াশোনার জায়গা। সেখানে পড়ুয়াদের দিয়ে এইসব কাজ করানো অনুচিত। এদিকে, পানাগড় বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি ছবি দেখলাম। আমি ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে গা-মাথা টেপানোকে কোন ভাবেই সমর্থন করি না।বিষয়টি আমি আমাদের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে সকলের নজরে আনব। বিষয়টির তদন্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’