দোকানে ঢুকে তান্ডব দুষ্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় উত্তেজনা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জোনের কনিষ্ক এলাকার খোলা মার্কেটে। অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধেই দোকানে এই তান্ডব। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আতঙ্কিত বিজেপি কর্মীর পরিবার এখন প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতৃত্বের।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে এ-জোন খোলা মার্কেটে মনোজ সিং নামে সক্রিয় এক বিজেপি কর্মীর টেলারিংয়ের দোকানে আসে জনা দশেক দুষ্কৃতী, তাঁরা খোঁজ করেন বিজেপি কর্মী মনোজ সিংয়ের। দোকান লাগোয়া মনোজের ঘর থেকে এরপর তাঁর স্ত্রী কিরণ সিং বেড়িয়ে কথা বলতে গেলে দুষ্কৃতীরা দোকানের শাটার খুলে ভিতরে ঢুকে টেলারিংয়ের মেশিন পত্র ভেঙে দেয়। ছুড়ে বাইরে ফেলে দেয় চেয়ার টেবিল এমনকি দামী সেলাই মেশিনও। মনোজ সিংয়ের ছেলে দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত ওই বিজেপি কর্মীর পরিবার এরপর ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা আটকে দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বিজেপি কর্মী মনোজ সিংয়ের অভিযোগ, বিজেপি করি বলে তাঁর পরিবারের উপর এই আক্রমণ। সব সেলাই মেশিন ভেঙে দেওয়ায় এখন এই লকডাউনে কিভাবে কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান মনোজবাবু। গোটা ঘটনায় এখন ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জোনের কনিষ্ক এলাকায়। গত বুধবার দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরের সব রাজনৈতিক দল, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পদস্থ অধিকারীকদের নিয়ে শান্তি বৈঠকে বসেছিলেন মহকুমা শাসক অর্ঘপ্রসূন কাজী, এই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবার। এই ঘটনায় এবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্তের দাবি, যদি প্রশাসন এই ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা না নেয় তাহলে তাঁরাও রাজনৈতিক ভাবে এর মোকাবিলা করবেন।
অন্যদিকে, দুর্গাপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলার রাজীব ঘোষের যুক্তি হয়তো ব্যাক্তিগত কোনো রাগকে পার্টির ব্যানারে নিয়ে চলে আসছে। প্রয়োজনে আমি ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ীতে যাব, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কোনভাবেই এইসব ঘটনার সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। দোকান ভাঙচুরের পরে এখন এই লকডাউনে কি করে এই ক্ষতি সামাল দেবেন তা নিয়ে এখন ঘোর চিন্তায় সিং পরিবার, কারণ রুটি রুজির একমাত্র উৎস ছিল এই টেলারিংয়ের দোকান।