করোনা আবহে হচ্ছে এবারের শারদোৎসব। সুস্থ থাকতে নিয়মের বেড়াজালে গৃহবন্দি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে গত কয়েক মাস ধরে। এবারের দুর্গোৎসব ঘিরে চারিদিকে রয়েছে উৎকণ্ঠা ও আশঙ্কা। গুচ্ছ গুচ্ছ বিধিনিষেধে বাড়িতে বসেই পুজো উপভোগ করতে হবে সকলকে। তাই মন খারাপের পুজোয় পাড়া প্রতিবেশীদের মুখে হাসি ফোটাতে নিজের গানে নিজেই সুর দিলেন জি-সারেগামাপা খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শুভশ্রী দেবনাথ।
শুভশ্রী দুর্গাপুরের শ্যামপুরের বাসিন্দা। লকডাউনের শুরু থেকেই শুভশ্রী দুর্গাপুরের বাড়িতে রয়েছেন। লকডাউনের মধ্যেই গানের ইউটিউব সিরিজ, শারদীয় গান ও বেশকিছু জি-বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান করেছেন। এরমধ্যে পুজো চলে আসায় এবার পাড়া প্রতিবেশীদের মুখে হাসি ফোটাতে দুর্গাপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ীর লেখা গানের কথা ‘ঢাক গুড় গুড়’-এ নিজেই সুর দিলেন। আর শুভশ্রীর দিদি জয়শ্রী দেবনাথ রায় সেই গানের সিরিজটি প্রয়োজনা করেন। সেই গানের সিরিজ মঙ্গলবার রিলিজ হয় ইউ টিউবে। নিমিষেই ঢাক গুড় গুড় গানটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
জানা গেছে, এই গানের কথা কথা লিখেছেন দুর্গাপুরের বিশিষ্ট মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী অশোক কুমার নাগ। গানটির অ্যারেঞ্জার প্রদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়। গানটি রিলিজ হতেই মিষ্টি ব্যবসায়ী অশোক কুমার নাগের মুখেও হাসি ফুটেছে। অশোকবাবু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই শুভশ্রীর পরিবারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। আমার দোকানের মিষ্টি খেয়ে শুভশ্রী বড় হয়েছে। দুর্গাপুজো এলেই আমার দোকানের নাড়ু শুভশ্রীদের বাড়িতে যেত এবং এখনও যায়। কিন্তু এবার সেই নিয়মে বাদ সেধেছে করোনা কাঁটা। তাই মন খারাপের এই পুজোয় গান লিখে আমি শুভশ্রীকে দিই। শুভশ্রী সেই গানে সুর দেয়। এবারের পুজোয় সেই গানই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।’ এই বিষয়ে শুভশ্রী দেবনাথ বলেন, ‘লকডাউনে অনেক গান আমার রিলিজ হয়েছে, কিন্তু এবার পুজোয় প্রচুর বিধিনিষেধ থাকায় মিষ্টি ব্যবসায়ী কাকুর মন খারাপ। পুজোয় নাড়ুর বিক্রিও কম। তাই আমি নিজেই গানের সুর দিয়ে মিষ্টি ব্যবসায়ী কাকুর মুখে হাসি ফোটাই।’