অ্যাডমিট কার্ডে সেন্টারের নাম ভুল থাকায় রবিবার দুর্গাপুরের সংশ্লিষ্ট সেন্টারে পৌঁছেও ডাক্তারিতে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টে (নিট) বসতে না পারার অভিযোগ করল আসানসোলের এক ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন। ছাত্রীর নাম তানিয়া বৎস। তানিয়া বলে, ‘অ্যাডমিট কার্ডে সেন্টারের নাম অনুযায়ী তার দুর্গাপুরের দিল্লি পাবলিক স্কুলে সেন্টার পড়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছে দেখে সেখানে কোন পরীক্ষা হচ্ছে না। তারপর দুর্গাপুর পাবলিক স্কুল গিয়ে সেখানে তার রোল নম্বর না মেলায় সেখানেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়নি।

আসানসোলের হিলভিউ এলাকার বাসিন্দা। তানিয়া গত বছর আসানসোলের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে ডাক্তারি পড়ার লক্ষ্যে রাজস্থানের কোটায় কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেয় বলে জানায়। একবছর ধরে প্রস্তুতির পর রবিবার সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে না পারার অভিযোগ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হেল্প ডেস্কে বারবার ফোন করেও কোন সাড়া পায়নি বলে অভিযোগ করে। পুলিশের দ্বারস্থ হলেও পুলিশ তানিয়ার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে সচেষ্ট হলেও শেষমেশ কোন সুরাহা করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

বিস্তর দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে এদিন পরীক্ষার সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে শেষমেশ তানিয়া কার্যত হতাশ হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। নিজেদের ভবিষ্যত গড়তে লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসছে অথচ পরীক্ষার নিয়মাক সংস্থার হেল্পডেস্ক কার্যত হেল্পলেস – এই অভিযোগ তুলে শেষমেশ তানিয়া ও তার পরিবারের‌ লোকজন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে ফণীর বিপর্যয়ের কারণে উড়িষ্যায় স্থগিত হয়ে যাওয়া পরবর্তী ডেটে মেডিক্যাল পরীক্ষায় বসার একটা সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কাতর আবেদন করে।

Like Us On Facebook