রাজ্যের ২৩ তম জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটল। নতুন জেলার নামকরণ হল পশ্চিম বর্ধমান। আসানসোল-দুর্গাপুর খনি-শিল্পাঞ্চল নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান। কৃষি ভিত্তিক এলাকা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান। শুক্রবার আসানসোল পুলিশলাইন মাঠের এক জনসভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় থাকছে বর্ধমান সদর উত্তর, বর্ধমান সদর দক্ষিণ, কালনা ও কাটোয়া। ১৬ টি থানা সহ আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমা নিয়ে হল নতুন জেলা পশ্চিম বর্ধমান। নতুন জেলা পশ্চিম বর্ধমানের সদর শহর হবে আসানসোল। শিল্পাঞ্চলের মানুষের যাতাযাতের সুবিধার্থে ও প্রশাসনিক কাজ তরান্বিত করতে বৃহদ জেলা বর্ধমানকে দুই ভাগ করা হল বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এদিন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন দুর্গাপুর ও আসানসোল দুই মহকুমাকে নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শীঘ্রই প্রভূত উন্নয়ন ঘটানো হবে। নতুন জেলার প্রশাসনিক সব কাজ এবার থেকে আসানসোলের প্রশাসনিক ভবনেই হবে। শিল্পাঞ্চলের মানুষকে আর বর্ধমান যেতে হবে না। শিল্পাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নতুন জেলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা আজ পূর্ণ করলাম। আসানসোলের পানীয় জলের সংকটের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রানিগঞ্জের ধ্বস প্রবণ এলাকার মানুষদের পুর্নবাসন দিতে আবাসন প্রকল্পে ৪৫ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হবে। এদিন বর্ধমানের মিষ্টি হাব সহ এক গুচ্ছ প্রকল্পের একই সঙ্গে উদ্ভোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আসানসোলের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম ও রাজনীতি এক নয়, দেশ কারও একার নয়, সবার। কে কীভাবে থাকবে, খাবে সেটা কি বিজেপি ঠিক করবে? সবাই নিজের মত করে ধর্মাচারণ করবেন। আমরা বিভাজনের রাজনীতি করি না। রাজ্যে ধর্মীয় আবেগে আঘাত করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। এসব আমরা বরদাস্ত করব না।