শার্লক চৌধুরী বাবা, মা ও দিদির সঙ্গে
সৌরাশিষ দত্ত

পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্ভাব্য তৃতীয়, দুর্গাপুরের সম্ভাব্য প্রথম বিধান চন্দ্র ইনস্টিটিউশনের কমার্সের ছাত্র সৌরাশিষ দত্ত উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৭৪ নম্বর পেয়ে একজন পেশাদার চাটার্ড অ‍্যাকাউন্টেন্ট হতে চায়। সৌরাশিষের বাবা অমিয় দত্ত দুর্গাপুরের এএসপি কারখানার অস্থায়ী কর্মী। মা গৃহবধু। দিদি অর্পিতা শিক্ষকতার লক্ষ্যে বিএড করছেন।

আবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি মহিষকাপুর হাইস্কুলের বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র শার্লক চৌধুরী ৪৫৮ নম্বর পেয়ে একজন নামজাদা চিকিৎসক হতে চায়। শার্লকের বাবা বিমলেন্দু চৌধুরী শার্লকের স্কুলেরই ইতিহাসের শিক্ষক। মা কবিতা চৌধুরী গৃহবধু। দিদি সহেলী মেডিক্যালের ছাত্রী। সহেলিও চায় ভাই শার্লক একজন সফল চিকিৎসক হোক।

অন্যদিকে, চারটি বিষয়ে লেটার সহ ৪১৫ নম্বর পেয়ে স্কুলের সেরা কাঁকসার মলানদিঘির ‌দুর্গা দাস বিদ্যামন্দিরের সমীরণ রায় পারিবারিক আর্থিক সঙ্কটে পড়ে আগামী দিনে কিভাবে পড়াশোনা চালাবে তাই ভেবে পাচ্ছে না বলে জানায়। তাই সৌরাশিষ বা শার্লকের মতো স্বাচ্ছন্দ্যে এখনই ভবিষ্যত নিয়ে কিছু বলতে চায় না সমীরন।

সমীরণ রায়

সমীরণ বলে, বাবার স্বল্প আয়ের উপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে। আগামী দিনে ব‍্যায়বহুল উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়াই এখন আমার একমাত্র চ‍্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় মলানদিঘির দূর্গা দাস বিদ‍্যায়তনের এই ছাত্র। সমীরণ ইংরেজিতে ৮১, ভূগোলে ৮১, দর্শনে ৯০, এবং সংস্কৃতে ৮৭ নম্বর পেয়েছে। বাবা ধনঞ্জয় রায় বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী। মা যমুনা রায় গৃহবধু। সমীরণের বাড়ি কাঁকসার আকনদারা। সমীরনের ডান হাতের দুটি আঙ্গুল জন্ম থেকেই নেই। বাঁ হাত দিয়ে লিখেই সমীরণ আজ স্কুলের সেরা। মনে উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলেও আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় সব স্বপ্নকে চেপে সমীরন এখন কোন একটি ছোট খাটো কাজ করে তার পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় বলে জানায়।

Like Us On Facebook