মহালয়ার সারাদিন রোদ ঝলমলে থাকার পর রাতভর বজ্রপাত ও মুষলধারায় বৃষ্টিতে ভাসল দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা। বহু বাড়িতে নর্দমার জল ঢুকে পড়ে বাড়ির জিনিসপত্র ভাসল নোংরা আবর্জনার জলে। দুর্গাপুরের তামলা নালা ভেসে পার্শ্ববর্তী এলাকা – মেনগেট, কাদা রোড জলমগ্ন হয়ে গেছে। এইসব এলাকায় পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে বিদ্যুত বিছিন্ন করে এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ২০ নং ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর পল্লী সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই দুর্গাপুরের পুলিশ ও প্রশাসন এইসব এলাকার জল নামানোর তৎপরতা শুরু করেছে। এবং দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সব রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ এক টানা ভারী বৃষ্টি হয় দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর নগর নিগমের ২০, ১৩, ৩৪, ২৯, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা জলের তলায়৷ তামলা নালার পাশে বসবাসকারী কয়েকশো পরিবার ও গবাদি পশু জলবন্দি। ৫৪ ফুটের তপোবন এলাকা জলমগ্ন। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর নিউটন এলাকাও জলমগ্ন। বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে যায়। দুর্গাপুরের ৪১ নং ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তার পাশে শিমুলতলা বস্তি সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। দুর্গত মানুষদের খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন স্থানীয় ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপুল সাহা।
দুর্গাপুরের ২৯ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক পল্লীর বাসিন্দারা বাড়ি ঘর জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এলাকার উন্নয়ন বলতে রাস্তার দুদিকে নাম মাত্র নালা। তাতে বৃষ্টির পর্যাপ্ত জল বের হয়না। ফলে এলাকায় ২০০ বস্তির ১৫০ বস্তিই বৃষ্টির জলে ভেসে যায় বলে অভিযোগ দুর্গাপুরের ২৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার রাতেও তাই হয়েছে বলে জানান স্থানীয় মানুষ। বেশির ভাগই টালির ছাদ মাটির দেওয়াল। বাড়িতে কোমর সমান জলে ভাসছে বাড়ির জিনিসপত্র। ক্ষোভে ফেটে পড়ে শুক্রবার সকালে বাড়ির সামনের রাস্তা অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি স্থানীয় কাউন্সিলর এসে কাজের কাজ যদি না করেন তাহলে কাউন্সিলর পদ তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। আমরা আর সামন্য গুড়, চিড়ে এবং কালো ত্রিপলে ভুলে যাবো না। আমাদের এলাকায় বৃষ্টির জলের সমস্যা বহু দিনের। এবার আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।